পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর লাবু, লাবুকে মনে আছে?— লাবু একটা ছোট রজনীগন্ধার মালা গেথে এনে দিয়েছে— সেটাও আমার ডেস্কের উপরে পড়ে আছে। পিঠের কাছে পশ্চিমের জানলা খোলা আছে, সেইখন থেকে ঝুর ঝুর করে হাওয়া আসচে। এই পশ্চিমের হাওয়া কোথা থেকে আসচে বল ত রাণু? কাশী থেকে কি ? কাশীতে এখন তোমাদের খুব গরম এবং গুমট— বোধ হয় কিছু হাওয়া নেই। কিন্তু তুমি যে মাঝে মাঝে আমার কথা ভাবচ তোমার সেই ভাবনার হাওয়া বোধ হয় আমার পশ্চিমের জানলা দিয়ে ঢুকে আমাকে পাখা করচে । তুমি এখন অল্প অল্প করে পড়চ, তিনবার করে দুধ খাচ্চ শুনে খুসি হলুম। বৌমার মত মোটা হওয়া চাই। আর যাই কর, হিন্দী দোহা মুখস্থ করা একেবারে ছেড়ে দিয়ো— সেই তোমাদের “ছল ছল ছৈল সুছাম” এমনি শুকনো, যে ওর পরে তিন বাটি দুধ খেয়েও কিছু সুবিধে হবেনা। বরঞ্চ তোমার লটিকে তোমার হিন্দী গুরুজির কাছে ভৰ্ত্তি করে দিয়ো। ওর গাল দুটো এত ফুলো, যে, দোহা আওড়াতে আওড়াতে যদি একটুখানি রোগা হয় তাতে কিছু ক্ষতি হবে না। ভক্তিকে বোলো তার বন্ধুর দল মোটের উপর ভালই আছে, কেবল দিনু বাবুর কাল জ্বর হয়েছিল আজ কুইনীন খেয়ে চুপ করে বিছানায় শুয়ে আছে। হা, একটা কথা মনে রেখো— সন্ধ্যাবেলায় রোজ তোমাকে গান কিম্বা সেতার কিম্বা বীণা কিম্বা ঐ রকম কিছু একটা শিখতে হবে। বাবজাকে বোলো একটা উপায় করে দিতে।' ইতি ১লা শ্রাবণ ১৩২৫ তোমার রবিদাদা vరిO