বস্তুত বিশ্বভারতীর আপন সন্তান নয়, পোষ্যপুত্র। ওরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরই– অথচ ওদের পোষবার জন্তেই আমাদের যথার্থ নিজের কাজকে দেউলে অবস্থার অতলস্পর্শ গহবরের মুখের কাছে দাড় করিয়েছি— সবসুদ্ধ একদিন ডুবতে হবে । কিন্তু মোহের ছলনা একেই বলে— সত্যের চেয়ে মায়ার প্রলোভন বেশি । আমার কিছু করবার দিন নেই। এখন কনস্ট্রিটুশিন— তার জন্যে খাটতে হয় কিন্তু তাকে দূর থেকে নমোনমঃ । ইতি ১৫ই মে ১৯৩৪ স্নেহানুরক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর \ყ\y ২৬ মে ১৯৩৪ હૈં চন্দননগর কল্যাণীয়েযু এ বৎসর অসহ্য গরমে তাড়া করে বের করে এনেছে শান্তিনিকেতন থেকে । গঙ্গার শরণাপন্ন হয়েছি— অনেককাল পরে আরেকবার সেই বোটের আতিথ্য নিতে হোলো। এ পদ্মার চর নয় চন্দননগরের নদীতীর। ঠিক এই জায়গাটাতে সামনের ঐ বাড়িতে ছিলুম যখন আমার বয়স আঠারো। মনে পড়ে সেই কাচা বয়সের কথা । মনটা কীরকম ছিল নৈহারিক, আপনাকে ভালো করে পাই নি বলে নিজেই নিজের কাছে সব চেয়ে অচেনা ছিলুম। কিন্তু যখন ছিলুম বোটে > > R