পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপ দেখা দিয়েছে আপন বর্ণগন্ধগান নিয়ে ; সে বসন্তের রূপ, যৌবনের আবির্ভাব— তার আশা আকাঙ্ক্ষার একটি বিশেষ বাণী ছিল। তারপরে জীবনের অভিজ্ঞতা প্রশস্ততর হয়ে এল তখন সেই প্রথম যৌবনের বসন্তী রঙের আকাশে ঘনিয়ে এল বর্ষার সজল শ্যাম সমারোহ– জীবনে বাণীর বদল হোলো, বীণায় আর এক স্বর বাধতে হবে ; সেদিন যাকে দেখেছিলুম এক বেশে এক ভাবে, আজ তাকে দেখচি আর এক মূৰ্ত্তিতে, খুঁজে বেড়াচ্চি তার অভ্যর্থনার নূতন আয়োজন । জীবনের ঋতুতে ঋতুতে যার নূতন প্রকাশ সে এক হলেও তার জন্যে একই আসন মানায় না। খেয়ার “অনাবশ্যক” কবিতার মধ্যে কোনো প্রচ্ছন্ন অর্থ আছে বলে মনে করি নে। আমাদের ক্ষুধার জন্যে যা অত্যাবশ্যক, তার কতই অপ্রয়োজনে ফেলাছড়া যায় জীবনের ভোজে, যে-ভোজ উদাসীনের উদেশে । আমাদের অনেক দান উৎসর্গ করি তার কাছে যার তাতে দৃষ্টি নেই— সেই অনাবশ্যক নিবেদনে আনন্দও পেয়ে থাকি অথচ বঞ্চিত হয় সে, যে একান্ত আগ্রহ নিয়ে হাত পেতে মুখ চেয়ে দাড়িয়ে আছে । চারদিকে প্রতিদিন দেখতে পাচ্চি সংসারে যেখানে অভাব সত্য সেখান থেকে নৈবেদ্য প্রচুর পরিমাণেই বিক্ষিপ্ত হয় সেই দিকে যেখানে তার জন্যে প্রত্যাশা নেই, ক্ষুধা নেই । তোমাকে যদি কাছে পেতুম তাহলে খাটিয়ে নিতুম প্রাচীন কবিতা সঙ্কলনে। দেখলুম কাজটা সহজ নয়, কেননা মনের >\うo