উল্লেখযোগ্য, জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় মুকুমার রায় প্রণীত 'ফটোগ্রাফি রচনাটির রবীন্দ্রনাথ উল্লেখ করেন নি। পত্র ৩৮ ৷ ‘তোমার হাতেই জীবন সমর্পণ করা গেল’ । ‘জীবনস্মৃতি’ প্রবাসীতে সমর্পণ করার প্রসঙ্গ । একই দিনে ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮য় রামানন্দকে লেখা চিঠিতে লিখেছেন, ‘জীবনস্মৃতি কপি করিতে দিলাম। এবং ‘জীবনস্মৃতি’ অনেকটা পরিবর্তিত ও পরিবদ্ধিত হইয়াছে.’ অর্থাৎ ‘সমপণের এখনও কিছু দেরি । ‘অজিতের প্রবন্ধ...’ । রামানন্দকে লেখা পূর্বোল্লিখিত চিঠির পরের লাইনেই রবীন্দ্রনাথ লিখছেন : ...কিন্তু আমার মনে হয় অজিতের লেখার প্রথম কিস্তি অন্তত বাহির হইয়া গেলে এই প্রবন্ধ প্রকাশ হওয়া উচিত । অজিত আমার জীবনের সঙ্গে কাব্যকে মিলাইয়া সমালোচনা করিয়াছেন— তাহার লেখা পড়িয়া যদি পাঠকদের মনে কৌতুহল জাগ্রত হয় তবে এ লেখাটা তাহারা ঠিকভাবে গ্রহণ করিতে পরিবেন। এবং অজিতেরই লেখার অনুবৃত্তিরূপে এই জীবনস্মৃতির উপযোগিতা কতকটা পরিমাণে অাছে। অজিতকুমারের প্রবন্ধ প্রস্তুত হয়েছিল ১৩১৭ চৈত্রে । দ্র, মীরা দেবীকে লেখা শাস্তিনিকেতন থেকে চৈত্র ১৩১৭য় রবীন্দ্রনাথের 衍: ‘অজিত বোধ করি আমার জন্মদিনে আমার রচনা সম্বন্ধে কিছু একটা পাঠ করবে, তারই জন্যে আমার জীবনবৃত্তান্তের ও ভিন্ন ভিন্ন কাব্যরচনার দিন ক্ষণ তারিখ নিয়ে আমাকে অস্থির করে তুলেছে.’ । চিঠিপত্র ৪ পৃ ১৯ । ১৩১৮র রবীন্দ্রজন্মোৎসবে অভ্যাগতদের তিনি লেখাটি পড়ে শোনান । দ্র, সীতা দেবী : ‘পুণ্যস্মৃতি’ ১৩৪৯ পৃ ২৪ । আষাঢ়-শ্রাবণ দুই ংখ্যা প্রবাসীতে অজিতকুমারের প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।
পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৮
অবয়ব