প্রিয়নাথ সেনকে লেখা অনেকগুলি পত্রে (চিঠিপত্র অষ্টম খণ্ড) ‘বিনোদিনী’র প্রসঙ্গ আছে।—
“বিনোদিনীর খবর ভাল। গোলেমালে দিনকতক তার কাছ থেকে ছুটি নিতে হয়েছিল গতকল্য থেকে আবার নিয়মিত হাজ্রি দিচ্চি। পত্রের এই অংশটুকু যদি তুমি কারো কাছে প্রকাশ কর তাহলে আমার সম্বন্ধে দ্বিতীয় আর একটি উপন্যাসের সৃষ্টি হওয়া বিচিত্র নয়।”
“আমার স্কন্ধে কবিতার পুরাতন জ্বর হঠাৎ চাপিয়াছে তাই বিনোদিনী উপেক্ষিতা।”
“বিনোদিনীর সঙ্গে আমার দীর্ঘবিচ্ছেদ চল্চে। ছোটখাট নানা ব্যাপারে ব্যস্ত আছি।”
“নাটোরকে সেই বিনোদিনীর গল্পাংশ একদিন শোনান গেল— তাঁর খুব ভাল লাগল। শোনাতে গিয়ে সেটা লিখে ফেলবার জন্যে আমারও একটু উৎসাহ হয়েছে— কিন্তু অন্য সমস্ত খুচরো লেখা শেষ করে নিশ্চিন্ত হয়ে সেটায় হাত দিতে ইচ্ছা আছে।”
“বিনোদিনী লিখ্তে আরম্ভ করেছি— কিন্তু তার উপরে ভারতী ও বঙ্গদর্শন উভয়েই দৃষ্টি দিয়েছেন।”
“বিনোদিনীকে লইয়াই ত পড়িয়াছি। তাহার একটা সদ্গতি না করিতে পারিলে আমার ত নিষ্কৃতি নাই। এই অপরিণত অবস্থায় ঐ গল্পটাকে কোন কাগজে দিতে আমার একেবারে ইচ্ছা নয়। গ্রন্থ আকারে সম্পূর্ণভাবে বাহির হইলেই আমার মনঃপূত হয়। কিন্তু একদিকে শৈলেশের তাড়না অপরদিকে অর্থাভাবেরও তাড়া আছে— তাই অপেক্ষা করা কঠিন হইয়াছে। গোড়া হইতে আরম্ভ করিয়া গোটা সাতেক পরিচ্ছেদ শেষ করিয়াছি— বিনোদিনী সবে রঙ্গভূমিতে পদার্পণ করিতেছে মাত্র।”
৮২