পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এতদিনে প্রবাসীতে সেটা পড়ে থাকবে । তার ইংরেজি অনুবাদ Modern Review-তে বেরিয়েচে । তোমার চিঠিতে তুমি 'machine’ সম্বন্ধে যে আলোচনার কথা] লিখেচ সেই machine এই নাটকের একটা অংশ । এই যন্ত্র প্রাণকে আঘাত করচে, অতএব প্রাণ দিয়েই সেই যন্ত্রকে অভিজিৎ ভেঙেচে, যন্ত্র দিয়ে নয়। যন্ত্র দিয়ে যারা মানুষকে আঘাত করে তাদের একটা বিষম শোচনীয়তা আছে—কেননা যে-মনুষ্যত্বকে তারা মারে সেই মনুষ্যত্ব যে তাদের নিজের মধ্যেও আছে—তাদের যন্ত্রই তাদের নিজের ভিতরকার মানুষকে মারচে ! আমার নাটকের অভিজিৎ হচ্চে সেই মারনেওয়ালার ভিতরকার পীড়িত মানুষ। নিজের যন্ত্রের হাত থেকে নিজে মুক্ত হবার জন্তে সে প্রাণ দিয়েচে । আর ধনঞ্জয় হচ্চে যারা যন্ত্রের হাতে মারখানে ওয়ালার ভিতরকার মানুষ। সে বলচে, “আমি মারের উপরে ; মার আমাতে এসে পৌছয় না—আমি মারকে না-লাগা দিয়ে জিংব, আমি মারকে না-মার দিয়ে ঠেকাব ।” যাকে আঘাত করা হচ্চে সে সেই আঘাতের দ্বারাই আঘাতের অতীত হয়ে উঠতে পারে, কিন্তু যে-মানুষ আঘাত করচে আত্মার ট্রাজেডি তারই—মুক্তির সাধনা তাকেই করতে হবে, যন্ত্রকে প্রাণ দিয়ে ভাঙবার ভার তারই হাতে । পৃথিবীতে যন্ত্রী বলচে, “মার লাগিয়ে জয়ী হব।” পৃথিবীতে মন্ত্রা বলচে, “হে মন, মারকে ছাড়িয়ে ওঠ জয়ী হও ।” আর নিজের যন্ত্রে নিজে ૭૨૭ હt