পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেখানে মানুষ নানা রকমে মার না পাচ্চে । মনে হয় যেন একটা যুগাস্তের পরে যুগান্তরের সূচনা। নূতনের অভু্যদয় যখন হয় তখন নাড়িছেড়া দুখেই আনে তাকে আবাহন করে। পূর্ব যুগের ভুল চুক ক্রটি আপন ভাঙনের বিদারণরেখার উপর দিয়েই নবযুগের রথযাত্রার পথ রচনা করে । সেই পথ রচনার কাজে মানুষ ঢেলে দিচ্চে তার হৃদয়শোণিত । আমি মনে মনে ভাবচি আমার এ জন্মের প্রান্তভাগটা মিলে গেছে এই যুগেরই রক্তরশ্মিদীপ্ত দিগন্তরেখায়। সমস্ত যুগাবসানের বেদনা আমার মনের মধ্যে আজ ছায়াপাত করেচে। ইতি ২ শ্রাবণ ১৩৪১ দাদা 公8° ৭ অগস্ট ১৯৩৪ も কল্যাণীয়াসু অনেকদিন তোমাকে চিঠি লিখিনি । বিবিধ রকম কাজে নিরস্তর ব্যাপৃত ছিলুম, তার মধ্যে সাহিত্যিক কাজও কিছু ছিল —কিছু ছিল এখানকার ছাত্রদের প্রতি কৰ্ত্তব্যপালন, কিছু ছিল নানা লোকের নানা খুচরো দাবী মেটানো, সেগুলো যেন গাছের মধ্যে আগাছার জঙ্গল । মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, তৃণশ্যামল বিস্তীর্ণ প্রান্তরসীমায় ঘন বনশ্রেণীর নীল রেখা, আমার অলিন্দের তিন কোণে তিনটি রাধাচুড়ার গাছ পুষ্পগুচ্ছ নিয়ে বাতাসে আন্দোলিত, তার পিছনে বড়ো শিমুলগাছকে বিজড়িত করে উঠেছে মালতীলতা, দিনরাত কঁাকরবিছানো পথে টুপ, টুপ, করে মালতী ঝরে পড়চে, কদম্বকেশর ঝরার দিন শেষ হয়ে ૨ (t 8