পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারো— যে চতুরানন একদিন আমার মুখে ভাষা দিয়েছিলেন, তিনিই সে ভাষা সংহরণ করে নেবার জন্তে দ্বারের কাছে এসে দাড়িয়েছেন । ইতি ৬ ভাদ্র ১৩৪১ দাদা 8 సె ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ কল্যাণীয়াসু গোটাকতক ইংরেজি লেখার দায় আমার কাধে চেপেছে । তাই ছুটি পাচ্চি নে। আমার পক্ষে ইংরেজি সরস্বতীর মহল বিমাতার মহল । তবু সৌভাগ্যক্রমে আমার প্রতি তার কিঞ্চিৎ প্রসন্নতা আছে ৷ হলেও ও মহলে সহজে চলাফেরার অভ্যাস এখনো হয় নি। ইংরেজি কেন, আজকাল বাংলা লেখাতেও কলম কুঁড়েমি করে। চিরপরিচিত পথেও পা বেধে যায়— সে পথের দোষ নয়, পায়েরই তুৰ্ব্বলতা। এমন অবস্থায় আঙিনার বাইরে পা বাড়ানোই ভালো নয়। কিন্তু ওজর খাটে না— এত দীর্ঘকাল আমারই পদক্ষেপের চাপে যে রাস্ত তৈরি হয়ে গেছে, তাকে পরিহারের উপযুক্ত কোনো কৈফিয়ৎই কেউ মঞ্জুর করতে চায় না | তোমার চিঠি পড়ে আমার বিস্ময় বোধ হয়। সব কিছু দেখবার আকাজক্ষা এবং শক্তি তোমার মধ্যে যেমন প্রবল আমাদের দেশে এমন অল্প লোকেরই মধ্যে দেখেচি । তোমার )