পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দ্ৰিয়বোধের খোলা জানলায় তোমার মন সৰ্ব্বদা উৎসুক হয়েই আছে । এই উদাসীন তাধেক কাণ অাধেক কালার দেশে বিশ্বপ্রকৃতির সম্বন্ধে এমন জাগরূক চৈতন্য কোথা থেকে পেলে ? অামাদের দেশের হাল আমলের ধৰ্ম্মসাধনা এই জিনিষটাকে কম্বল চাপা দিয়ে রাখে, বিশ্ববিষয়ের প্রতি এই উপেক্ষাকেই আধ্যাত্মিকতার লক্ষণ বলে স্থির করে রেখেছে। এই প্রত্যক্ষ দৃষ্টির ক্ষীণত যে মানসিক জড়ত্বের লক্ষণ তা তারা মানতে চায় না । তোমার মধ্যে একটা স্বাভাবিক বৈজ্ঞানিক উৎসাহ আছে– তুমি সব জিনিষকে স্পষ্ট দেখতে চাও— তোমার নিজেকেও তুমি খুব স্পষ্ট করে দেখে থাকে, তুমি আপনার কাছে আপনাকে ভোলাও না । এইখানেই তোমার প্রকৃতিগত আধুনিকতা প্রকাশ হয়ে পড়ে। অদৃষ্টক্রমে তুমি মেয়ে হয়ে জন্মেছ— শুধু যে কেবল সামাজিক আবরণ তোমাকে বেষ্টন করে রেখেছে তা নয়, আজন্মকাল শিক্ষার অভাবও কঠিন জেনেন, তার দেয়ালে ফাক অল্পই । তোমার বৃদ্ধি তোমার অশিক্ষার অন্তরাল ভেদ ক’রে কিছু কিছু দেখে শুনে নেয় – কিন্তু জানা ও না-জানার মিশ্রণে তোমার অনেক ধারণা উপছায়ার আশ্রয় হয়ে উঠেছে। তোমার স্বাভাবিক শক্তি বাধাগ্রস্ত হয়ে যে এমনতরো ব্যর্থ হয়ে রইল এ কথা মনে করে দুঃখ বোধ করি । ক'দিন দুঃসহ গরম গিয়েছে— অদৃশ্য বাম্পের আস্তরণের নীচে পুথিবী দিনরাত হাপিয়ে ঘেমে মরছিল। কাল হঠাৎ ঘনঘোর মেঘ এসে সমস্ত আকাশ থেকে জ্বরের তাপ সরিয়ে ט ל\א