পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হঠাৎ দৌড় দিয়েছে মাদ্রাজে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্চে বয়েস অল্প— সব দায়কে হালকা করেই দেখে । কিন্তু আমার বয়স অল্প নয়, দায় বিস্তর, মোচন করবার শক্তি ক্ষীণ, বাহনদের পরেই নির্ভর— বিনা কারণে তাদের ডানা যদি চঞ্চল হয়ে ওঠে, অদৃশ্য হয় মেঘের মধ্যে, আমার বোঝা নামাবার উপায় দেখি নে । দুঃখ করব না, নালিশ করব না, সব বোঝা যিনি নামিয়ে নেবেন তার রথের শব্দ অদূরে শোনা যায়। আর যাই হোক ক্লান্তি ছাড়া আমার দেহে আর কোনো বালাই নেই– অতএব চিন্তা কোরো না । নানা দেশের নানা ডাক্তার অামাকে পরীক্ষা করেচে, তারা বলে আমার দেহের কোনো যন্ত্রই শিথিল হয় নি, কেবল হৃদযন্ত্রের মাংসপেশী অযথা পরিশ্রমে তুৰ্ব্বল হয়ে পড়েছে। ইতি ১৮ চৈত্র ১৩৪১ দাদা ン & 。 ১৪ এপ্রিল ১৯৩৫ હૈં কল্যাণীয়াসু আজ নববর্ষের দিনে তোমার চিঠিখানি পেয়ে আনন্দিত হয়েছি। অাজ উৎসবের ব্যাপারে এবং অতিথিকৃত্য নিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত আছি। এখন কিছু দিন এই রকম চলবে । কারণ এই ছুটির সময় সুযোগ পেয়ে চারদিক থেকে এখানে লোকের আমদানি হয় । তাছাড়া অন্ত কাজ আছে। ૨ જે જ