পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি যাকে মানুষের সাধনার বিষয় বলি তার একটা বিশেষ দিক হয় তো তোমার কাছে যথেষ্ট স্পষ্ট হয় নি। মানুষের পূর্ণত শতদল পদ্মের মতো, তার বিকাশে বৈচিত্র্যের অন্ত নেই। প্রকৃতির অন্য সকল দিক খৰ্ব্ব করে কেবল একটিমাত্র ভাবাবেগের প্রবল উৎকর্ষসাধনকেই আধ্যাত্মিক সাধনার অাদর্শ বলে আমি স্বীকার করি নে। অনেক সময় দেখা যায় দৃষ্টি যখন অন্ধ হয় তখন স্পর্শশক্তি অদ্ভুত রকমে বেড়ে যায়। কিন্তু তবুও বলতে হবে দৃষ্টি ও স্পর্শের যোগেই আমাদের ইন্দ্রিয়শক্তির পূর্ণ সার্থকতা । মানুষের চিত্ত যত কিছু ঐশ্বৰ্য্য পেয়েচে, সাধনার লক্ষ্যকে সঙ্কীর্ণ করে তার মধ্যে যেটাকেই বাদ দেব সেটাই সমগ্রকে পঙ্গু করবে। পৃথিবীতে র্যারা বিজ্ঞানের সাধনা করেন র্তারাও মোহমুক্তির দিকে মানুষের একটা জানলা খুলে দিচ্চেন। কিন্তু যদি তারা বলেন অন্য জানলাগুলি বুজিয়ে দাও দেওয়াল গেথে, তাহলে সেই এক জানলার পথে বিজ্ঞানের অতি তীব্র উপলব্ধি জন্মাতে পারে তবু পূর্ণতার ঐশ্বৰ্য্যে মানুষ বঞ্চিত হবে । পেটুক বলতে পারে জল খেয়ে কেন পেট ভরাব, জঠরের সমস্ত গহবর সন্দেশ দিয়ে ঠাসাই ভোজের চরম আনন্দ, তেমনি মাতাল বলে খাবার খেতে শক্তির যে অপচয় হয় সেটা বন্ধ করে একমাত্র মদ খেয়েই তৃপ্তির পূর্ণতা ঘটানো চাই। আপাতত যাই হোক পরিণামে উভয়েই বঞ্চিত হয় । সাধারণত যাকে আধ্যাত্মিক সাধন বলা হয় তাকে যখন আমরা লোভের সামগ্রী করে তুলি তখন আলো পাবার জন্যে একটি জানলা ছাড়া অন্য সব জানলায় సెlఆ ס\ ר