পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ઉ ૦ চিঠিপত্র সবুজ পত্রকে বাচিয়ে রাখতে বই কি। দেশের তরুণদের মনে সবুজ রংকে বেশ পাকা করে দেবার পূৰ্ব্বে তোমার ত নিস্কৃতি নেই – প্রবীণতার বর্ণহীন রসহীন চাঞ্চল্যহীন পবিত্র মরুভূমির মাঝে মাঝে অন্তত একটা আধটা এমন ওয়েসিস থাকা চাই যাকে সৰ্ব্বব্যাপী জ্যাঠামির মারী-হাওয়াতেও মেরে ফেলতে না পারে। অন্তহীন বালুকারাশির মধ্যে তোমার নিত্যমুখর সবুজপত্রের দোতুল্যমান ছায়াটুকু যৌবনের চির-উৎসধারার পাশে অক্ষয় হয়ে থাক। প্রাণের বৈচিত্র্য আপন বিদ্রোহের সবুজ জয়পতাকাটি শুভ্র একাকারত্বের বুকের মধ্যে গেড়ে দিয়ে অমর হয়ে দাড়াক । আমার এই খোলা জানলাটার কাছে বিশ্রামশয্যায় শুয়ে আমি আমার ঐ সামনের মাঠের দিকে [ চেয়ে ] অনেকটা সময় কাটাই । ওখানে দেখতে পাই মাঠের সমস্ত ঘাস শুকিয়ে পাণ্ডুবর্ণ হয়ে গেছে, শাস্ত্র উপদেশে ভরা অতিপুরাতন পুথির পাতার মত। অনেকদিন বৃষ্টি নেই রৌদ্রও প্রখর— তা’তে শুষ্কত। প্রবল হয়ে এক দিগন্ত থেকে আরেক দিগন্ত পৰ্য্যস্ত সমস্ত ভূমিকে অধিকার করেছে। তার প্রতাপ যে কত বড় তা এই দূর-বিস্তৃত শূন্ততার একটান। বিস্তার দেখলেই বুঝতে পারা যায়। কিন্তু এরই মধ্যে একটি মাত্র তালগাছ এতবড় সনাতন নিজীবতাকে উপেক্ষা করে একলাই দাড়িয়ে আকাশের সঙ্গে অালোকের সঙ্গে নিত্যই আপনার পত্রব্যবহার চালাচ্চে । কোথাও কিছুমাত্র বাণী নেই কিন্তু ঐ একটুখানি মাত্র জায়গায় বাণীর উৎস কিছুতেই আর বন্ধ হয় না। একটি দেবশিশু প্রকাগু দৈত্যের মুখের