পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড ১৯৪২)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র సా চমৎকার দেখতে,— তারপরে নদী ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে আসে, নিতান্ত খালের মত, দুধারে উচু পাড়, ভারি বদ্ধ ঠেকে। তার পরে একজায়গায় ভয়ানক তোড়ে জল বেরিয়ে আসচে ২০২৫ লোকে ধরে আমাদের নেীকো টেনে নিয়ে এল। একটা মস্ত বিল আছে তার নাম চলন বিল। সেই বিলের থেকে জল নদীতে এসে পড়চে । তারপরে ঠেলে ঠুলে অনেক কষ্টে এবং অনেক বিপদ এড়িয়ে বিলের মধ্যে এসে পড়লুম— চারদিকে জল ধু ধূ করচে, মাঝে মাঝে ঝোপঝাপ ঘাস জমি-এ একটা মস্ত মাঠে বর্ষার জল দাড়ালে যে রকম হয়— মাঝে মাঝে বোট মাটিতে ঠেকে যায়, প্রায় একঘণ্টা দেড়ঘণ্টা ধরে ঠেলাঠুলি করে তবে তাকে জলে ভাসাতে পারে — ভয়ানক মশা । মোদা কথাটা, এই বিলটা আমার একেবারেই ভাল লাগেনি । তারপরে মাঝে মাঝে ছোট ছোট নদী, মাঝে মাঝে বিল। এমনি করে ত এসে পৌঁচেছি। আবার এই রাস্তা দিয়ে যে বিরাহিমপুরে যেতে হবে সেটা আমার কিছুতেই মনঃপূত হচ্চে না । এখানকার নদীতে একেবারেই স্রোত নেই। শেওলা ভাসচে, মাঝে মাঝে জঙ্গল হয়েছে— পাড়াগেয়ে পুকুরের যে একরকম গন্ধ পাওয়া যায়, সেইরকম গন্ধ— তা ছাড়া রাত্তিরে বোধ হয় যথেষ্ট মশা পাওয়া যাবে। নিতান্ত অসহ্য হলে এইখান থেকেই কলকাতায় পালাব । আমার মিষ্টি বেলুরাণুর চিঠি পেয়ে তখনি বাড়ি চলে যেতে ইচ্ছে করছিল । আমার জন্যে তার আবার মন কেমন করে— তার ত ঐ একটুখানি মন, তার আবার কি হবে ? তাকে বোলে৷