পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড ১৯৪২)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ8 চিঠিপত্র গেছে। নদীর জলও অনেকখানি বেড়ে উঠেছে । শস্তের ক্ষেত সমস্তই জলে ডুবে গেছে— জল আর একফুট বাড়লেই অামাদের বাগানের কাছে আসে । যেদিকে চেয়ে দেখি খানিকটা ডাঙ্গ খানিকটা জল । মেয়েরা আপনার বাড়ির সামনের জলেই বাসন মাজ এবং অন্যান্য নিত্য ক্রিয়া সম্পন্ন করচে । সভ্যতার অনুরোধে—শ্ররীর যতখানি– কাপড়ে—আকৃতথাকা উচিত তার চেয়েও আঙুল চার-পাচ উপরে কাপড় তুলে _ _ _கங்-ப মেয়ে পুরুষ সকলেই রাস্ত দিয়ে চলেচে। — গৰ্ম্মিকালে এখানে যেমন জলকষ্ট, বর্ষাকালে ঠিক তার উল্টো । আমাদের তেতালাতেও বোধ হয় বৃষ্টি হলে কতকটা এই রকমের দৃশ্যই দেখা যায়। বারান্দায় যে পরিমাণে জল দাড়ায় তাতে বোধ হয় অনায়াসে চৌকাঠের কাছে বসে স্নান বাসন-মাজা প্রভৃতি চলে যায় । বর্ষাকালে যদি এই উপায় অবলম্বন কর তাহলে তোমার অনেকটা পরিশ্রম বেঁচে যায়। আজকাল তুমি দুবেলা খানিকটা করে ছাতে পায়চারি করে বেড়াচ্চ কি না অামাকে বল দেখি । এবং অন্যান্য সমস্ত নিয়ম পালন হচ্চে কি না, তাও জানাবে। আমার খুব সন্দেহ হচ্চে তুমি সেই কেদারাটার উপর পা ছড়িয়ে বসে একটু একটু করে পা দোলাতে দোলাতে দিব্যি অারামে নভেল পড়চ । তোমার যে মাথা ধরত এখন কি রকম আছে ? [ সাহাজাদপুর, ১৮৯১ ] রবি