পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*fस्थ रे● ‘তুমি ত এতদিন নির্জনে সাধনা করিয়াছ, বলিতে পার কি, কি করিলে মুখ দুঃখের অতীত হইতে পারা যায় ? একদিন ভারতে স্বদিন আসিবেই, কিন্তু একথা সৰ্ব্বদা মনে থাকে না । ইহা যে সত্য, একথা আমার মনে মুদ্রিত করিয়া দাও । একটা আশা না থাকিলে আমার শক্তি চলিয়া যায় ।” ২•-সংখ্যক পত্র এই চিঠির উত্তরে লিখিত হইতেও পারে এই অহমানে উহার তারিখ কল্পিত হইয়াছে। জগদীশচন্দ্রের পূর্বপত্রের ( ৮ এপ্রিল ১৯০২ ) উত্তরেও ২০-সংখ্যক চিঠি লিখিত হইয়া থাকিতে পারে । উহাতে জগদীশচন্দ্র লিখিতেছেন— ‘তুমি মনে কর ৰে আমি সৰ্ব্বদাই কৰ্ম্ম-সাধনে উন্মুখ । তুমি যদি জানিতে যে প্রতিমুহূৰ্ত্তে আমাকে নিজের সহিত কত সংগ্রাম করিতে হয়। আমার মন সৰ্ব্বদা ছুটিয়া যাইতে চাহে, এই অবিরাম যুঝিয়া আমি ক্লান্ত হইয়াছি । স্বভাবের ক্রোড়ে, যেখানে সমস্ত নিস্তব্ধ, সমস্ত শাস্তিময়, সেখানে মন ছুটয় ষায় । তোমরা যদি নিরাশ্বাস হও তবে আমি একা যুঝিয়া কি করিব ? .فع রবীন্দ্রনাথের রচনায় জগদীশচন্দ্র এই সময় কিরূপ আবিষ্ট হইয়া ছিলেন তাহার নিদর্শন-স্বরূপ জগদীশচন্দ্রের ৩০ মে ১৯০২ তারিপের পত্র উদ্ধৃত করা যাইতে পারে— 鴨 এতকাল কেবল কৰ্ম্মসংবাদ লিপিয়ছি। একদিন ও মন খুলিয়া চিঠি লিখিতে সময় পাই নাই । আজ আর-সব কথা ভুলিয়া তোমার গৃহে অতিথি হইলাম। এক এক সময় মনে হয় দূর হউক দুঃখের কথা— মামুষের হৃদয় বলিয়া ত একটা জিনিস আছে । . সন্ধ্যার পর তোমার ঘরে যেন বসিয়াছি । আমার ক্রোড়ে আমার ছোট বন্ধুটি বসিয়া আছে, a> >