বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চিত্রে জয়দেব ও গীতগোবিন্দ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গীতগোবিন্দ

ক্ষত্রিয়-রুধিরময়ে জগদপগতপাপম্ ।৹।
স্নপয়সি পয়সি শমিত-ভবতাপম্ ॥ ❃ ॥
কেশব ধৃত-ভৃগুপতিরূপ জয় জগদীশ হরে ॥ ১০

অত্যাচারী ক্ষত্রিয়ের রক্তে
পৃথিবীকে স্নান করিয়ে,
তুমি দূর করেছ তার পাপ-তাপ,
পরশুরাম-মূর্ত্তিধারী
হে কেশব, হে জগদীশ, হে হরি,
তোমারি হউক জয়॥ ১০ ॥


 এই শ্লোকে জয়দেব পরশুরাম-অবতারের কাহিনী উল্লেখ করেছেন। মাতার অপমানে পরশুরাম ক্রুদ্ধ হয়ে পৃথিবীকে নিঃক্ষত্রিয় করবার প্রতিজ্ঞা করেন এবং সেই প্রতিজ্ঞার দরুণ তিনি একুশবার পৃথিবীকে নিঃক্ষত্রিয় করেন। ক্ষত্রিয়রা যখন নিজেদের বাহুবলের দম্ভে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেদের কর্ত্তব্য ভুলে গিয়েছিল, সেই সময় পরশুরাম উপযুক্ত শিক্ষা দেবার জন্যেই বাহুবলেই ক্ষত্রিয়দের উচ্ছেদ করেন। কিন্তু এই হিংসার অভ্যাস ক্রমশঃ তাঁকেও পেয়ে বসে। সেইজন্য আদর্শ ক্ষত্রিয়রূপে শ্রীরামচন্দ্রের কাছে অবশেষে তিনি পরাভূত হন। পরশুরাম হলেন রৌদ্র রসের প্রতীক।

[সাতচল্লিশ]