জীবনী
তিনকড়ি চক্রবত্তী—ইনি এই ছবিতে অক্ষয়ের ভুমিকায় অবতীর্ণ। বাংলা দেশে ছবি তোলার প্রায় প্রথম যুগ থেকেই ইনি কোনো না কোনো কোম্পানীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন। তিনকড়িবাবু করুণ এবং হাস্যরস এই দুই ভূমিকাতেই অদ্বিতীয়। বঙ্গ রঙ্গমঞ্চের ইনি অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা।
চিরকুমার সভা ছবি যখন তোলা হচ্ছিল তখন এঁর অতি বৃদ্ধ পিতা মরণাপন্ন ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। পিতা নিরাময় হোতে না হোতে তাঁর দুই পুত্র রোগে আক্রান্ত হন এবং একমাসের মধ্যেই তাঁরা মারা যান। উপযুক্ত পুত্রদ্বয়ের মৃত্যুশোক হৃদয়ে বহন কোরে যে ধৈর্যের সঙ্গে তিনি হাসির অভিনয় করেছিলেন তা যে কোনো দেশের আর্টিষ্টের শিক্ষনীয়।
অমর মল্লিক—ইনি চিত্র জগতে অতি অল্প দিন প্রবেশ করলেও প্রথম প্রচেষ্টাতেই দর্শকদের কাছে নিজের প্রতিষ্ঠা স্থাপন করেছেন। নির্ব্বাক এবং সবাক দু-রকম ছবিতেই ইনি বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছেন। নানা রকম চরিত্র অভিনয় করবার এঁর বিশেষ দক্ষতা আছে। অমর বাবু ইউরোপের অনেক স্থানের রঙ্গভূমি এবং সেখানকার বড় বড় নামজাদা অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের অভিনয় দেখে এসেছেন। ইনি এই ছবিতে চন্দ্রবাবুর ভূমিকা অভিনয় করেছেন।
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য—মনোরঞ্জন বাবু বাংলা দেশের রঙ্গমঞ্চের একজন উঁচুদরের অভিনেতা। নিউ থিয়েটার্সের অন্যতম নিবেদন শরৎচন্দ্রের ‘দেনাপাওনা’ ছবিতে ইনি শিরোমণির ভূমিকা অভিনয় করেছেন। মনোরঞ্জন বাবু কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভাল ছাত্র ছিলেন কিন্তু নানা কারণে এঁকে লেখাপড়া পরিত্যাগ করতে হয়। ইনি বহুদিন শিশিরকুমার ভাদুড়ী পরিচালিত থিয়েটারে অভিনয় করেছেন এবং সেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে মার্কিন দেশেও অভিনয় করতে গিয়েছিলেন। এই ছবিতে ইনি রসিক দাদার ভূমিকায় অবতীর্ণ।
দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়—দুর্গাদাস বাবু একজন চিত্রকর। আট স্কুল থেকে বেরিয়ে তিনি আর্ট থিয়েটারে চিত্রকর রূপেই প্রবেশ করেছিলেন। পরে নিজের অভিনয় গুণে কর্ত্তৃপক্ষকে চমৎকৃত কোরে সেখানকার একজন প্রধান অভিনেতা হন। চিত্রজগতেও এর খ্যাতি অল্প নয়। বাংলা দেশে ইনিই সর্ব্বপ্রধান জনপ্রিয় চিত্রাভিনেতা। ইনি সুদর্শন