জাপানী চিত্রকারের চিত্রশালা।
যে দিন প্রথম হংকং নামি, সেই দিনই এই চিত্রশালাটি দেখিয়াছিলাম। সে চিত্রগৃহের রাস্তার ধারের দেয়ালটি,আলো বাইরে বলিয়া, কেবল শার্সিতে গঠিত, -রাস্তা হইতেই ভিতরকার ছবিগুলি সব দেখা যায়। কত লোক পথ চলিতে চলিতে বাহিরে দাঁড়াইয়া অবাক হইয়া ছবি দেখে। আমার সেখান হইতে দেখিয়া আশ মিটিল না। পতঙ্গ যেমন আলো দেখিলে অনন্যগতি হইয়া তাহাতেই আকৃষ্ট হয়, আমিও সেইরূপ হইলাম।
চিত্রকার তখন সমাপ্তপ্রায় একটি ছবিতে নিবিষ্টচিত্তে তুলি বুলািইতে ছিলেন। আর কতকগুলি চীনেম্যানও চিত্রকার্য্যে নিযুক্ত ছিল। আমি ভিতরে যাইবামাত্র উঠিলেন। বোধ হয়, মনে করিলেন, ক্রেতা আসিয়াছে। ক্ষীণদেহ যুবাপুরুষ, ঢলঢ়’লে চিত্র বিচিত্র পোষাক পরা। মাথার চুলগুলি বড় বড় ও সিঁথিকাটা, কতকটা আমারই চুলের মত। সাধারণ জাপানীরা এত বড় চুল ও রাখে না; এমন সিঁথিও কাটে না। বোধ হয়, কেবল চিত্রকরেরই এই দস্তুর। তিনি মিষ্ট সুরে অভিবাদন করিয়া বলিলেন, -“Good morning!” চিত্রকরের গলায় মিষ্ট স্বর শুনিয়া ও তাঁহার অভিবাদনের হাবভাব দেখিয়া আমি তখনই বুঝলাম, ইনি আমাকে দয়ার চক্ষে দেখিয়াছেন।
আমি প্রথমেই বলিলাম,—“আমি কিছু কিনিতে আসি নাই। সুন্দর সুন্দর চিত্রগুলি বাহির হইতে দেখিয়া আশা মিটাল না বলিয়া নিকটে দেখিতে আসিলাম।” সোজা কথা শুনিয়া তিনি একমুখ হাসিয়া