“বিনয় ও লজ্জাশীলতা স্ত্রীলোকের কণ্ঠভূষণ স্বরূপ।” চীন দেশীয় স্ত্রীলোককে যে ভাল করিয়া দেখিয়াছে সেই এ কথার তথ্য বুঝিতে পরিবে! এমন স্বভাবসুলভ বিনয়নম্র রমণীজাতি পৃথিবীর আর কোথায়ও নাই।
আর একটি প্রবাদের এইরূপ অর্থ,—“অসময়ে অতিথি আসিলে সে শত্রুর (তাতার) অপেক্ষাও কষ্টদায়ক হয়।” পূর্ব্বেই বলিয়াছি যে, চীন দেশের লোক মোটেই অতিথি-পরায়ণ নহে; ভাই মরিলে ভাই কাঁদে না, অতি নিকট আত্মীয়ের দুরবস্থায় অর্থসাহায্য করে না। লোকে লোকারণ্য বলিয়া যে দেশে জীবিকা অর্জ্জন অতি কষ্টসাধ্য, সে দেশে অতিথি-সৎকার কিরূপে সম্ভব হইতে পারে?
“নির্ব্বাণদীপে কিমু, তৈল দানম্।” প্রদীপ নিবিয়া গেলে আর তাহাতে তৈল দিয়া কি হইবে? একথার মর্ম্মান্তিক তাৎপর্য্য প্রাচীন চীনেরাও বুঝিয়াছিল।
আর একটি প্রবাদে মা ছেলে কে সদুপদেশ দিতেছেন। উহার ভাব,ঠিক নিম্নোক্ত সংস্কৃত শ্লোকটীর মত,—
“সুশীলোভব ধর্ম্মাত্মা, মৈত্রী প্রাণিহিতে রতঃ।
নিম্নগা যথাপঃ প্রবণাঃ পাত্রমা যাতি সম্পদঃ।”
বড়ই সারগর্ভ ও সদুপদেশ পূর্ণ নীতি কথা। পিতার কোলে উঠিতে পাইলেন না বলিয়া অভিমানে যখন ধ্রুবের ঠোঁট ফুলিতেছিল। তখন তাঁহার মাতা তাঁহাকে বলিয়াছিলেন, “সুচরিত্র হও, ধর্ম্মপরায়ণ হও, সকল লোকের-সকল জীবের মঙ্গল সাধন কর, তাহা হইলে জল যেমন সর্ব্বদা নিম্নগামী হয়, সকল সুখ-সম্পাদও উপযুক্ত বোধে তোমাতেই আসিবে।”
ব্যথিত-হৃদয়ের উক্তি আর একটি শ্লোকের ভাব কতকটা নিম্নলিখিত শ্লোকের ন্যায়,—