পাতা:চীবর - বঙ্গিমচন্দ্র মিত্র.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هلع আছে কলম্বর বীচিমালা—গদগদ লহরীলীলা, স্বচ্ছাশীতল অমৃত-নিসেক। “শ্ৰীকৃষ্ণের স্বীয়ঞ্জামে গমন” ও “ভগীরথের গঙ্গানয়ন” একই কালে কবিতা ও দর্শন। তার্কিকের শুষ্ক দর্শন নয়, ভক্তের ভূয়োদর্শন। অচৰ্চনা বলেন প্ল-বঙ্কিমবাবুর কবিতার ভাষা মনোরম, চিত্রের বর্ণািৱন্যাসে প্রকৃত শিল্পকরের তুলিকার পরিচয় পাওয়া যায়। এক একস্থলে পড়িতে পড়িতে পাঠক অশ্রু সংবরণ করিতে পারে না । 3 . ?? ਅs ਨੇ বৰ্ণনা-গৌরবে অতুলনীয়। শ্ৰীকৃষ্ণ-বলরামের কথোপকথনে বাসুদেবের ব্রজলীলা বড় মধুর চিত্রে ফুটয়াছে। যে কবি এত সংক্ষেপে এত বড় কৰ্ম্মবীর শ্ৰীকৃষ্ণের জীবনলীলা ফুটাইয়া তুলিতে পারেন, সে কবি হিন্দু সমাজে বরেণ্য। বঙ্গবাসনী বলেনন ৪-সকল কবিতা প্ৰসাদ গুণবিশিষ্ট । অনেক কবিতা পড়িতে পড়িতে ভাবে হৃদয় উছলিয়া উঠে। এক একটা কবিতার শব্দ-কঙ্কারের রেশ কাণের ভিতর দিয়া মরুমে পশিয়া হৃদয় পুলকিত করিয়া তুলে। আধুনিক ইংরেজী শিক্ষিত কবিদিগের কবিতা বঙ্কিমচন্দ্রের মতন যদি মধুৱ ছন্দে, মধুর ভাষায় ও ভাবে, অথচ প্ৰসাদগুণে রচিত হয়, তাহা হইলে বুঝিব, বঙ্গসাহিত্যের কাব্বাঙ্গ প্রকৃতই བ་ལྟ་ হইয়াছে । 鞅 “নায়কে” শ্ৰীযুক্ত পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যাক্স মহাশয় বলেন —“তুর্কিঞ্চন” নাম দিয়া একখানি অতি মুন্দর গাছপাকা ফজলী আমের মতন মিষ্ট মধুর কবিতাপুস্তক বাহির হইয়াছে। মিত্ৰজ দাদা উচ্চাঙ্গের কবি, ভাষা সুন্দর-ভাব জুতি মধুর। তাহীর রচিত “শ্ৰীকৃষ্ণের স্বীয়ধামে গমন” কাব্যখণ্ডখানি সকুলুেই সাদরে