বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ছড়া-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছড়া

ননদ গেল ঘুঘুডাঙায়, সঙ্গে গেল চিন্তে—
লিলুয়াতে নেমে গেল ঘুড়ির লাঠাই কিনতে।
লিলুয়াতে খইয়ের মােওয়া চার ধামা হয় বােঝাই,
দাম দিতে হয় টাকার থলি মিথ্যে হল খোঁজাই।
ননদ পরল রাঙা চেলি, পালকি চড়ে চলল—
পাড়ায় পাড়ায় রব উঠেছে গায়ে-হলুদ কল্য।
কাহারগুলাে পাগড়ি বাঁধে, বাঁদি পরে ঘাঘরা,
জমাদারের মামা পরে শুঁড়তোলা তার নাগরা।
পাঁড়েজি তার খড়ম নিয়ে চলেন খটাৎ খটাৎ,
কোথা থেকে ধোবার গাধা চেঁচিয়ে ওঠে হঠাৎ।
খয়রাডাঙার ময়রা আসে, কিনে আনে ময়দা—
পচা ঘিয়ের গন্ধ ছড়ায়, যমালয়ের পয়দা।
আকাশ থেকে নামলাে বােমা, রেডিয়াে তাই জানায়—
অপঘাতে বসুন্ধরা ভরল কানায় কানায়।
 খাঁচার মধ্যে শ্যামা থাকে, চিরকুটে খায় পােকা—
 শিস দেয় সে মধুর স্বরে, হাততালি দেয় খােকা।


হুইস্‌ল্‌ বাজে ইস্টিশনে, বরের জ্যাঠামশাই
চমকে ওঠে—গেলেন কোথায় অগ্রদ্বীপের গোঁসাই
সাঁৎরাগাছির নাচনমণি কাটতে গেল সাঁতার,
হায় রে কোথায় ভাসিয়ে দিল সোনার সিঁথি মাথার

৩৪