পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন তৃপ্তির মা আনন্দে প্ৰায় গদগদ হয়ে বলেন, খাসা ছেলে পেয়েছি বাবা। আমার পিতিমের মতো মেয়ে, পয়সার অভাবে কানা-খোড়া কার হাতে সঁপে দিতে হবে ভেবে রাতে ঘুম হতো না। তা ভগবান মুখ তুলেছেন। রাজপুত্তরের মতো দেখতে, কোন খুতি নেই। চারশো টাকার চাকরীতে ঢুকেছে, হাজার টাকার গ্ৰেড না কি বলে তাই হবে। এ ছেলের দিকে কি চাইবার ভরসা হতো আমাদের ? না ঠিকমত দাবীদাওয়া করে বসলে সাধ্যে কুলোেত ? মেয়ে দেখে খুব পছন্দ হয়েছে C要び研河・・・ মনের আনন্দে তৃপ্তির মা অনর্গল বকে যান। হঠাৎ থেমে বনমালীকে বলেন, ফটোখানা দেখাও না নিবকে ? ফটো দেখে বোঝা যায় তিনি বেশী বাড়িয়ে বলেন নি । সাতাশ আটাশ বছর বয়সের অত্যন্ত সুপুরুষ স্বাস্থ্যবান যুবকের ছবি। সেই সঙ্গে অত ভালো চাকরী,— সত্যই এটা অঘটন বলতে হবে । অবশ্য, তৃপ্তির চেহারার হিসাবট ধরলে আর খুব বেশী অঘটন বলা যায় না। এরকম সুন্দরী মেয়েও সংসারে গণ্ডা গণ্ড মেলে না । সবসময় দেখে দেখে তার রূপের হিসাবটা সত্যই আমাদের খেয়াল থাকে না । গরীব কেরানীর QN(3) Il তৃপ্তির সেই গা-ভাসানো কথা মনে পড়ে— যেমন জুটবে, তাই সই! গরীব কুৎসিৎ বুড়ে বরের জন্য ও নিজেকে S Ove