এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছন্দের টুং টাং
আসে অমিয়-নির্ঝরের মত—পাথীর সহজ গানের মত। মিল তাঁকে আপনি ধরা দেয়। ছন্দ ঠিক রাখ্তে কাণের দরকার সবচেয়ে বেশী।
ছন্দ ঠিক হলেই অক্ষরও ঠিক হয়। তবে ঠিক আঠারো অক্ষরের নীচে ঠিক আঠারো অক্ষরই যে বস্বে তার কোনো মানে নেই। বইখানির প্রথম প্রবন্ধের থেকে একটা দৃষ্টান্ত দেওয়া যাক্:—
পুরী মিঠাই
ভাবেন্ কি ছাই,—
এখানে “পুরী মিঠাই” পাঁচ অক্ষর; আর “ভাবেন কি ছাই” ছয় অক্ষর। তাতে ছন্দের কোনো গোলোযোগ হয় নি। কারণ “ন”এ হসন্ত আছে বলে “ন” টা পূরোপুরি উচ্চারণ হচ্ছে না—সামান্য একটু আভাস পাওয়া যাচ্ছে মাত্র। কিন্তু “ন” অক্ষরটা যদি ওখানে পূর্ণ উচ্চারণ হোত তা হলেই ছন্দের গোলমাল্ বেধে যেত। সাঁওতালী ছন্দের একটা উদাহরণ:—
আটার রুটী নাই পেলাম
ভুট্টাদানা নাই খেলাম—!
৫৭