ক্ষণকাল পরে যুবক জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি আমার পত্র পাইয়াছেন?”
আমি সহাস্যমুখে উত্তর করিলাম, “আপনার পত্র না পাইলে এতক্ষণ বাসায় ফিরিয়া যাইতাম। এই দারুণ শীতে আজ আমার কোন কাজ করিবার ইচ্ছা ছিল না।
যুবক। তবে ত আমি বড় অন্যায় করিয়াছি।
আ। কিছু না। কাজ ছিল না বলিয়াই বাড়ী যাইতাম। আমি কাজ ফেলিয়া আমোদ করিতে ইচ্ছা করি না। আর এক কথা, ইনি আমার প্রিয় বন্ধু বলাই বাবু, একজন বিখ্যাত ডাক্তার। সময়ে সময়ে আমি ইঁহার নিকট পরামর্শ গ্রহণ করিয়া থাকি। আমায় যে কথা বলিবেন, ইনিও সেই কথা জানিতে পারিবেন। সুতরাং ইঁহার সমক্ষে আপনি সকল কথাই বলিতে পারেন; তাহাতে আপনার কোন ক্ষতি-বৃদ্ধি হইবে না।
যু। যে বিষয় বলিবার জন্য এখানে আসিয়াছি, তাহা বড়ই ভয়ানক। লোকে ঘুণাক্ষরে সে কথা জানিতে পারিলে আমার সর্ব্বনাশ হইবে।
আ। আপনার কোন চিন্তা নাই। আমাদের নিকট যাহা বলিবেন, তাহা তৃতীয় ব্যক্তি জানিতে পারিবে না। কিন্তু আপনাকে কি বলিয়া সম্বোধন করিব?
যু। আপনার নিকট মিথ্যা বলিতে পারিব না। আপনি পত্রের কথামত এখন আমার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিবেন না।
এই বলিয়া যুবক ক্ষণকাল কি চিন্তা করিলেন। পরে যেন হতাশ হইয়া বলিয়া উঠিলেন, “না মহাশয়! আমি ভুল বুঝিয়াছিলাম। আপনাকে বিশ্বাস না করিলে আমি কোনরূপে কৃত-