পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিলাইদহ, ৩১ শে জ্যৈষ্ঠ, >brおこ | এ সব শিষ্টাচার আর ভাল লাগে না—আজকাল প্রায় বসে বসে আওড়াই— “ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেঙ্কুয়িন " বেশ একটা সুস্থ সবল উন্মুক্ত অসভ্যতা । ইচ্ছা করে দিনরাত্রি বিচার আচার বিবেক বুদ্ধি নিয়ে কতকগুলো বহুকেলে জীর্ণতার মধ্যে শরীরমনকে অকালে জরাগ্রস্ত না করে একটা দ্বিধাহীন চিস্তাহীন প্রাণ নিয়ে খুব একটা প্রবল জীবনের আনন্দ লাভ করি । মনের সমস্ত বাসনা ভাবনা ভালই হোক মন্দই হোক, বেশ অসংশয় অসঙ্কোচ এবং প্রশস্ত যেন হয়—প্রথার সঙ্গে বুদ্ধির, বুদ্ধির সঙ্গে ইচ্ছার, ইচ্ছার সঙ্গে কাজের কোনরকম অহৰ্নিশি খিটমিটি না ঘটে । একবার যদি এই রুদ্ধ জীবনকে খুব উদাম উচ্ছঙ্খলভাবে ছাড়া দিতে পারতুম, একেবারে দিগ্বিদিকে ঢেউ খেলিয়ে ঝড় বাহিয়ে দিতুম, একটা বলিষ্ঠ বুনো ঘোড়ার মত কেবল আপনার লঘুত্বের আনন্দ-আবেগে ছুটে যেতুম ! কিন্তু আমি বেলুরিন নই বাঙালী। আমি কোণে বসে বসে খুৎ খুৎ করব বিচার করব তর্ক করব, মনটাকে নিয়ে একবার ওন্টাব একবার পাণ্টাব—যেমন করে মাছ ভাজে, ফুটন্ত তেলে একবার এ পিট চিড়বিড় করে উঠবে একবার ওপিঠ চিড়বিড় করবে,—যাকগে, যখন রীতিমত অসভ্য হওয়া অসাধ্য তখন রীতিমত সভ্য হবার চেষ্টা করাই সঙ্গত—সভ্যতা এবং বৰ্ব্বরতার মধ্যে লড়াই বাধাবার দরকার নেই । جست-سعی سست تا حس حسیس