পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yí মাতৃহারা অপু ကျီ"[ পরদিন সে কলকাতায় ফিরিল। কলেজ সেইদিনই প্ৰথম খুলিয়াছে, প্রমোশন পাওয়া ছেলেদের তালিকা বাহির হইয়াছে, নোটিশ বোর্ডের কাছে রথযাত্রার ভিড়সে অধীর আগ্রহে ভিড় ঠেলিয়া নিজের নামটা আছে কিনা দেখিতে গেল । আছে! দু’তিন বার বেশ ভাল করিয়া দেখিল । আরও আশ্চৰ্য এই যে পাশেই যে সব ছেলে পাশ করিয়াছে অথচ বেতন । বাকী থাকার দরুণ প্রমোশন পায় নাই, তাহদের একটা তালিকা দেওয়া হইয়াছে, কিন্তু তাহার মধ্যে অপুর নাম নাই, অথচ অপু জানে তাহারই সর্বাপেক্ষা বেশী বেতন বাকি ! সে ব্যাপারটা বুঝিতে না পারিয়া ভিড়ের বাহিরে আসিল । কেমন করিয়া এরূপ অসম্ভব সম্ভব হইল, নানাদিক হইতে বুঝিবার চেষ্টা করিয়াও তখন কিছু ঠাহর করিতে পারিল না । দু-তিন দিন পরে তাহার এক সহপাঠী নিজের প্রমোশন বন্ধ হওয়ার কারণ জানিতে অফিস-ঘরে কেরানীর কাছে গেল, সে-ও গোল সঙ্গে । হেড ক্লার্ক বলিল-একি ছেলের হাতের মোয়া হে ছোকরা ! কত রোল-পরে একখানা বঁধানো খাতা খুলিয়া t