পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেল। বাজারে আলুর সেরা ছয় পয়সা, মামাবাবুর কাছে তিনটি . পয়সার বেশী আদায়:কিরিবার যো নাই ; পাচ আন মাছের সের, মামাবাবু পছন্দমত মাছ লইয়া ওজন না করিয়াই বাড়ীর ভিতর পাঠাইয়া দেয়, তাহার পর পছন্দমত একটা দাম দিবার আদেশ হয়। শুধু তাহাঁই নহে ; এক হাটে পৰ্যাপ্ত তরকারী ক্ৰয় করিয়া তাহার কিয়দংশ বাসায় উদ্ধৃত্তি থাকিলে পরের হাটে বিক্রেতাকে সেই সকল শুষ্ক তারকারী ফেরত দিয়া তৎপরিবর্কে নূতন তরকারী গ্ৰহণ করা মামাবাবুর অন্যতম বাহাদুরী বলিয়া পরিগণিত হইত। দোকানদারগণু এইরূপে উৎপীড়িত হইলেও তাঁহাতে ইন্দু বাবুর খরচের কোনরকম সাশ্রয় লক্ষিত হইত না, বরং পুৰ্ব্বাপেক্ষা খরচপত্র অধিক হইতে লাগিল । ঈৰ্ষাপরায়ণ দুষ্ট চাকরেরা লাবলি করিত, মামাবাবু খরচপত্র বেশী করিয়া লেখে, কিন্তু ইহা বিশ্বাসযোগ্য কথা নহে ; কারণ মামাৰাবুর হাতে বাজারের ভার দেওয়ার পর হইতে যেমন উৎকৃষ্ট তরকারী, ভাল মাছ আসে, কোন দিনই যে তেমন হইত না ; একথা রাজমোহিনী কিছুতেই অস্বীকার কারিত না । কিন্তু মাছ তারকারী যতই উৎকৃষ্ট হোক, মামাবাবুর ব্যবহারে চারিদিকে অসন্তোষের কোলাহল নিবৃত্ত হইল না। দোকানদারেরা তাহার ব্যবহারে অত্যন্ত কাতর হইয়া দেওয়ানজীকে এ সকল কথা জানাইবার জন্য উৎসুক হুইল ; কিন্তু একেবারে ইন্দু বাবুর কাছে না গিয়া কমলাকান্তের কাছে তাহারা সমস্ত কথা বিবৃত করিল। তাহারা ইচ্ছা ও বলিল যে, দেওয়ানজী যদি সম্বন্ধীর প্রতি > >vY ]