পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীতিবশতঃ এই অত্যাচারের প্রতিবিধান না করেন, তাহা হইলে রাজাবাবুর কাছেও তাহারা আরজী করিতে সঙ্কুচিত হইবে না। , কমলাকান্ত মিষ্টবাক্যে তাহাদিগকে আশ্বস্ত করিয়া বিদায় দিলেন । শু্যামসুন্দর মধ্যাচুে ভগিনীর কাছে গিয়া কঁাদিয়া পড়িল ; বলিল, “এত অপমান আমার আর সহ্যু হয় না । আমি কি তোমার দেওরের পাকা-ধানে মই দিয়াছি যে, সে দেওয়ানজীর কাছে আমার কথা মিথ্যা করিয়া লাগায় ? আমি ত তাহার সম্পর্কে এখানে আসি নাই। যদি জানিতাম তাহার ভাত খাইতেছি, তা হইলে অনেক আগেই চলিয়া যাইতাম, আমার বাবাকেও থাকিতে দিতাম না । বাড়ীতে কি আমার ভাতের অভাব ?”-কথাটা রাজমোহিনীর কাণে এই নূতন প্রবেশ করিতেছে না, সুতরাং ক্ষণকালের জন্য অপমান ও ক্ৰোধে তাহার মুখখানি জ্বলন্ত অঙ্গারের ন্যায় লোহিতাভ হইয়া উঠিলেও সে অধিক কিছু বলিল না ; সংক্ষেপে উত্তর করিল, “সব শুনেছি, কি বোলব বল ! আমি এ বাড়ীর কেউ নই, আমার সবই অদৃষ্ট্রের দোষ।”—অর্থাৎ দেবারকে দূর করিয়া, দিবার ক্ষমতা থাকিলে সে বাড়ীর কেহ হইতে পারিত, কথার ভাবখানা অনেক পরিমাণে এই রকম ; এবং ভ্রাতৃদ্বয়ের সুপবিত্ৰ গভীর প্ৰেমবন্ধনের মধ্যে বিদ্বেষের সুতীক্ষ ছুরিকা চালাইতে পারিলেই হয় ত সে নিজের শুভদৃষ্ট বলিয়া বিবেচনা করিতে পারিত ; কিন্তু আপাততঃ তাহার এই পবিত্ৰ কামনা সংসিদ্ধির কোন সম্ভাবনা দেখা গেল না । কিন্তু চেষ্টার কোন