পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাকা পাঠাইতে লাগিলেন। অখিলভূষণ আন্তরিক যত্নের সহিত আইনশাস্ত্রের অধ্যয়নে মনঃসংযোগ করিলেন । সামাজিক শিষ্টাচারের অনুরোধে অখিলভূষণ ইংলণ্ডে পদার্পণ করিয়া স্ত্রীকে দুইএকখানি পত্ৰ লিখিয়াছিলেন। তাহার উত্তরে সোফী তাহাকে জানাইয়াছিল, তাহার পিতা তঁহার কষ্টাৰ্জিত অৰ্থ ব্যয় করিয়া তাহাকে বিলাতে পাঠাইয়াছেন ; এখন ঠাহার মনোযোগ দিয়া লেখাপড়া শিক্ষা করাই কৰ্ত্তব্য। ব্যারিষ্টারী পাশ করিবার পূর্বে সে তাহার নিকট হইতে প্রেমপত্ৰ পাইবার জন্য উৎসুক নহে। অখিলভূষণ যথাসময়ে সেই পত্ৰ পাইলেন। তিনি পত্ৰখানি সযত্নে ট্রাঙ্কের মধ্যে পুরিলেন ; সে পত্রের উত্তর লিখিলেন না । সোফীও তঁহাকে আর পত্ৰ লিখিল না । ডেপুটী সাহেব মাসান্তে একখানি পত্রে সংক্ষেপে তঁহার পারিবারিক কুশলবার্তা জ্ঞাপন করিতেন। দুই বৎসর পরে মিঃ বাগচী বিশেষ প্ৰশংসার সহিত ব্যারিষ্টারীর শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইচইলেন । ভারতীয় সংবাদপত্রে পরীক্ষাফল প্ৰকাশিত হইবার পূর্কেই তিনি শ্বশুরকে তার করিয়া সে সংবাদ জানাইলেন ; এবং দেশে ফিরিবার খরচ চাহিয়া পাঠাইলেন। মিঃ ন্যাণ্ডেল সেইদিনই টেলিগ্ৰাফিক মণিঅর্ডারে তাহাকে পাঁচ শত টাকা পাঠাইয়া দিলেন। পরের মেলে সোফীর এক পত্র বাগচী সাহেবের নিকট উপস্থিত হইল। তখন তিনি ইংলণ্ড হইতে দেশে প্ৰত্যাবর্তনের উপক্ৰম করিতেছেন। অখিলভূষণ হস্তাক্ষর দেখিয়াই বুঝিলেন, সোফীর পত্ৰ। পত্ৰখানি তিনি দুই চারিবার উল্টাইয়া দেখিলেন, 8s