পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু ইহজীবনে বিবাহ হওয়া অসম্ভব। পৃথিবীতে আমার আর ংসারী হওয়া হইবে না । সমাজের ভয়ে এ কথা লিখিতেছি না । , কলঙ্কের ভয়ে মানুষ জীবনের সকল কামনা পরিত্যাগ করে না । তথাপি বলিতেছি, সংসারের এ পারে। আর তোমার সহিত সে ভাবে দেখা হইবে না। পরপারের জন্য অপেক্ষা করিতে পার ? যদি পার, তবে আবার দেখা দিও। তাহা কি এতই কঠিন ? আমি ত उठाश्। म८न दझि ना । রমণী” দুইবার তিনবার পত্ৰখানি পাঠ করিলাম। রমণী-হৃদয়ের রহস্য কিছু বুঝিতাম না। পরাজিত হইয়া লজ্জায় মস্তক অবনত করিলাম। বিপুল চেষ্টায় মস্তক অবনত করিয়া বলিলাম, তাহাই হউক, তাহাই হউক, ইহলোকে এই পৰ্য্যন্ত ; পরলোকে আমার শান্তি । ইহলোকের এ গণ্ডীটুকু অতিক্ৰম করিতে আর কতদিনই বা অপেক্ষা করিতে হইবে ? () যথাসময়ে রমণীকে সে কথা জানাইলাম । 8 আরও পাঁচ বৎসর কাটিয়া গিয়াছে। ইতিমধ্যেই অনেক উমেদার। আমাকে তঁহাদের কন্যারত্ন-সম্প্রদানের প্রস্তাব করিয়া বাবাকে ধরিয়াছিলেন। কেন বিবাহ করিব না, সে কৈফিয়ৎ পিতার কাছে দিলাম না । জলের মত দিন কাটিতে লাগিল—সব কয়টা দিন এক সঙ্গে কাটিলেই বাচিতাম । { ७९