পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্বের মত মধ্যে মধ্যে ভবেশ বাবুর বাড়ী যাই ; রমণী পূর্বের ন্যায় হাসিয়া কথা কয়, গল্প করে, কিন্তু কখনও ভাধান্তর দেখি নাই। আমারও শিক্ষা হইয়াছিল-আমিও কোনদিন . অন্য চিন্তা করি, নাই। প্রেমের আকর্ষণ আমাকে রমণীর নিকট টানিয়া আনিত, কিন্তু মোহ সেই দেবীর সম্মুখে আমাকে বিহবল করিতে পারিত না। • রমণী যখন আমার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইত, তখন তাহাকে আমার ছায়া বলিয়া অনুভব করিতাম, কিন্তু মনের কোণেও বিন্দুমাত্র পার্থিব কামনার উদয় হইত না । রমণীয় দৃষ্টান্তে আমি মন সংযত করিয়াছিলাম । মাসছয়েক পরে বাবা সংসারের কাজ শেষ করিয়া স্বৰ্গে গেলেন ; মা ত অনেক পূর্বেই গিয়াছিলেন। বাড়ীতে পরিবারের মধ্যে অনামি, আর রামচরণ । বাবার মৃত্যুর পর রামচরণ আমাকে বিবাহ করিবার জন্য আর একবার ভাল করিয়া ধরিল। আমার সেই এক উত্তর,-একটু নীরব হাসি। বেচারা বৃদ্ধ আমার কথা কি বুঝিবে ? ° ভবেশ বাবুই আমার একরকম অভিভাবক হইয়া উঠিলেন। পূর্বেই এম, এ, পাশ করিয়াছিলাম। তাহার ইচ্ছা, আমি উকীল হই, না হয় ড়েপুটগিরি পরীক্ষা দিই। সংসারী হইবার জন্য ভবেশবাবু পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন ; আমার প্ৰিয়তমা ভগিনী সুরবালা আমাকে সংসারে উদাসীন দেখিয়া একটু চোখের জলও ফেলিল। আমি কখনও দেশান্তরে ঘুরিয়া বেড়াই, কখনও বা কয়েকমাস নিৰ্জ্জুনে পড়াশুনা করি। জীবন যখন বড় বৈচিত্র্যহীন [ ܣܟܠ