পাতা:জগতের ইতিবৃত্ত.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిరి ] মধ্য-যুগের শেষে ক্রমেই এইরূপ উন্নতি হইতে লাগিল। আবার এই সময়ে কতকগুলি কারণে ইউরোপের অবস্থা হঠাৎ পরিবর্তিত হওয়াতে উন্নতির শ্রোত ক্রমেই প্রবলতর হয়। ইউরোপে এই সময় হইতে বর্তমান যুগ প্রবর্তিত ছইয়াছে। (১) নুতন ২ দেশের অাবিন্ধিয়া ; (২) বিদ্যালোচনার পুনরারম্ভ ও মুদ্রাযন্ত্রের আবিষ্কার ; (৩) ধৰ্ম্ম-সংস্কার—এই তিন ঘটনাই এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ। যদিও এই ঘটনাত্রয় পরস্পর নিরপেক্ষ নহে, আমরা ইহাদের বিষয় স্বতন্ত্র ২ করিয়া উল্লেখ করিৰ। এই ঘটনাগুলি এক সময়েই উপস্থিত হয়। পরম্পরের আনুকূল্য করিয়া ইহার বর্তমান যুগের প্রবর্তক হইয়াছিল। এই মহাপরিবর্তনের অনুকুলকারী অনেক প্রয়োজনীয় বস্তও এই সময়ে আবিষ্কৃত হয়। বারুদচুর্ণকের অাবিন্ধিয়া ইস্কার মধ্যে প্রধান। বারুদের আবিঙ্কিয়ার পর যুদ্ধ বিজ্ঞানে পরিণত হইয়াছে। মুখ সিথিয়ানের মহাসাহসী হইলেও বিজ্ঞান-পটু বর্তমান ইউরোপীয়দিগের সহিত সংগ্রাম করিতে আর সমর্থ নহে । পঞ্চদশ আধ্যায় । নূতনপূথিবীর আবিষ্কার। আমরা বলিয়াছি যে প্রাচীন গ্রীক ও রোমকেরা পৃথিবীর অতি অম্প অংশই (অর্থাৎ ভূমধ্যসাগরের চতুষ্পার্শ্বস্থ দেশসকল এবং আসিয়ার পশ্চিমবিভাগ) জানিতেন; তাছারা ভারতবর্ষ এবং চীনের নাম মাত্র শুনিয়াছিলেন। কিন্তু গ্রীসের প্রধান পণ্ডিতেরা জ্যোতির্বিদ্যাপ্রভাবে জানিতে পারিয়াছিলেন যে পৃথিবী গোলাকার। তাছারা পৃথিবীর পরিধিপৰ্য্যন্তও গণনা দ্বারা স্থির করিয়াছিলেন। , , তামস এবং মধ্য যুগে (অর্থাৎ ৫০০ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৫০০ খৃষ্টাদপৰ্য্যন্ত) কোন প্রশস্ত অাবিন্ধিয়া হয় নাই। এই সময়ে লোকে কেবল ইউরোপের উত্তরাংশটা ভাল করিয়া জানিয়াছিলেন। - - কিন্তু ১৪৯২ খৃষ্টাব্দে ক্রিষ্টোফর কলম্বস কতকগুলি স্পেনদেশীয় জাহাজ লইয়া পশ্চিমাভিমুখে যাত্রা করেন ও আমেরিকার অন্তর্গত দ্বীপসকল জাৰিষ্কার করেন। এই ঘটনায় সমস্ত ইউরোপ উত্তেজিত হয়। অন্যান্য জাতিরাও চতুর্দিকে জাহাজ প্রেরণ করিতে লাগিলেন। কতিপয় বৎসরের মধ্যে ইউরোপীয়ের জানিতে পারলেন: ষে পশ্চিমদিকে মহাসাগরের অপর পারে পৃথিবীর এক বৃহৎখণ্ড আছে। এই পরিচিত সিথিয়ান এবং অন্যান্য জাতিদের সন্ধিত আমেরিকার আদিমক্সখিত্ব .\ğ.