পাতা:জন্মবীজ (১৯৪২).pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এমন পাশাপাশি কীভাবে বেঁচে আছি, কীভাবে রয়ে গেছে অনিশ্চয় আবার এক হই, আয় মা কাছে আয়, আবার শুরু হোক শর্তহীন তুই মা জননী জগজ্জননী জগদ্ধাত্রী জগৎমাতা ভাঙছে গড়ছে সংস্থাপন, ভাঙায় গড়াই আরদ্ধতা তুই মা জননী জগজ্জননী, জগদ্ধাত্রী এ মহাকাল তুই মা গ্রীষ্ম বরষা বৃষ্টি শরৎ স্নিগ্ধ বন্দনা তুই মা সৃষ্টি, তুই – ই কৃষ্টি এখানে এভাবে মন্দ না আয় মা জানকী তুই তো একাকী জগদ্ধাত্রী দুনিবার মৰ্ত্তে একাকী সঙেঘ সারথী আয় মা জননী জগৎপার চলে গেছে দিন সঙ্গবিহীন আর তো কখনো একলা নয় চলে গেছে বেলা শেষ হাসি খেলা ভালোবাসা এল কল্পনায় ঝর্ণর নীলে নীল হল দিক প্রাত্তিক হল চরাচর বন চলে গেছে দিন মুছে গেছে ঋণ সহজ হয়েছে জীবন তার জীবনের ভুলে একদিন পাপ গর্ভে ধরেছে কালশব একলা হতে সে চেয়েছে জীবনে গর্ভে গর্ভে কলরব এমনি ভাবে ভালো কিছুটা থাকা হল কিছুটা হল দিন নীল রঙিন এমনি ভাবে ভালো কিছুটা থাকা হল কিছুটা দিন হল স্বেচ্ছাচার কিছুটা হল দিন অনুস্বরহীন কিছুটা অনুসু্যত অনীক উচ্ছাস অপহ্নবে এসে এমত এক হল সুখের চরাচরে ভ্রাত্তি বিন্যাস অলীক বন্ধনে জড়িয়ে রয়ে গেল নিজেরা পাশাপাশি ক্লিষ্ট সংস্তব মানুষ নামে বেঁচে মরেই থেকে গেল তিনটি প্রাণী যেন তিনটি শব অথচ তো বাচতে চেয়েছিলাম মোমের কাপেটে থাকতে চেয়েছিলাম গহীন যখন গর্ভে ছিলাম নিজেকে খুব বন্দী মনে হত বাইরে এসে আরো বন্দী মনে হয় ২২