পাতা:জন্মবীজ (১৯৪২).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়ের মুখ মনে পড়ছে এসময়ে, পিতার অকপট মেহের টানে প্রসবে কালমৃত ছিলাম কোনোদিন এখন পরাভূত যে সস্তান মুনিই পথ করে দিলেন অবিচল, মুনিই তথাগত দৈবময় সেই অগ্নি উজ্জল পথ ধরে মুনির কাছে পৌছে দেখলাম . . . এক প্রস্তর মূৰ্ত্তি। সেই মূৰ্ত্তিকে প্রণাম করলাম । এখন চিতার আগুন এসে লাগছে আমার গায়ে । অথচ একটুও পুড়ছি না । মুনির গা থেকে একটা একটা করে খসে পড়ছে পাথর । তিনি অগ্নির দিকে উল্মীলিত চোখে তাকালেন । অগ্নি শমিত হল । সেইরাতে বনভূমে চরাচরের নিঃসঙ্গতায় দাড়িয়ে আমার মনে হল আমিও সেই মুনির মত । মুনিকে জিজ্ঞাসা করলাম . . . আমি কে ? ‘তুমি আমার থেকে নিঃসৃত অর্কপ্রভর ঔরসজাত রুচিরাগর্ভা আমি । এক নকল বেশে ঘুরে বেড়াচ্ছ। নিজেই জানো না । চিতায় তোমার আসল দেহ পড়ে আছে। নিয়ত সে অগ্নিকুণ্ডে পোড়ে । জানতে পার না । এখানে বসে বসে আমি পাহারা দিই নিজেকে । তুমি ফিরে যাও ।” আমার ভিতরটা হু – হু করে উঠল । নিয়ত এক অগ্নিকুণ্ডে পুড়ছি। অথচ কোনো অনুভুতি হচ্ছে না । ক্রমশ আমি খুঁজে পেতে চাইছি নিজেকে । যখন মুনির কাছে এসে নিজেকে পেলাম, দেখি আমার অবস্থান নিজের থেকেও অনেক দুরে । মুনি আমায় বললেন . . . তুই ফিরে যা ।” - ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম পাটনি চলে গেছে। খেয়া ঘাটে বাধা । আমার সম্মুখে সমস্ত চরাচর যেন মিলিয়ে যাচ্ছে ৰিস্থতির পারে। SRS