পাতা:জন্মবীজ (১৯৪২).pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি নদী অভিমুখে সেই বিস্মৃতির পারে ধীরে ধীরে নেমে গেলাম। সসাগরা প্রাস্তর পিছুটানে টানছেই, পৌছে আবার ফিরে পাব কী জন্মের অভিশাপ আমার লগ্নে ছিল, সাক্ষী রয়েছে মাতা একাকী তারচেয়ে একা একা নিজে চল চল যাই শেষ হয়ে এল কালরাত্রি একলা সওয়ারী আমি, একা একা নৌকায়, পারাপারে একা একা যাত্রি কোথায় চলেছি কোথা গাঙে নাও ভেসে যায় দিক নির্ণয়ে ভুল হচ্ছে কোথায় যাবার ছিল, কোথায় এসেছি একী দেখছি শেষের পারে পৌছে বন্দরে বন্দরে উল্লাসে উন্মন উজ্জল জলধি তরঙ্গ কোন ঘাটে নাও এসে ভিড়বে বা কোন ঘাটে পেয়ে যাব মনোমত সঙ্গ যেহেতু ভাসার কথা অবিরল ভাসছিই ক্লাস্তি ছুয়েছে তট ক্রিয়মান কেমন দেখব ফিরে বিবমিষা হাহাকার অকপট পেতে থাকি সন্ধান দুর থেকে হাত নেড়ে কারা যেন ডেকে যায় নাও এসে এই বুঝি ভিড়ল দূর থেকে হাত নেড়ে কীভাবে যে ডেকে যায় আমাকে কীভাবে ওরা চিনল চল চল চল চল চল চল চল যাই ওই বন্দরে এল সুসময় উৎসবে, মোচ্ছবে ভরে আছে স্মৃতিসুখ এখানে কেউই কারো কেউ নয় শেষমেষ নাও এসে এইঘাটে বাধা হল, এইখানে এইটুকু সত্য এখন কোথায় তুমি, অভিশাপে কতখানি হয়ে আছ ত্ৰিয়মান রিক্ত এখন এটুকুই সত্য কখন কোথায় পৌছে গেছি চরে কোথায় গেছি, চরে আমার পুড়ছে স্মৃতি পল্লবে রোদুরে এখন এটুকুই সত্য, আর কী সত্য ! প্রায়শ্চিত্ত পণ সত্য মিথ্যা সব সত্য পল্লবিত বন এখন এটুকুই সত্য মরা ভেসে যায় জলে আমি ভেসে যাই নাও ভেসে যায়, কিংশুকে জঙ্গলে এখন এটুকই সত্য সুখে ছিলাম বেশ তো ছিলাম ঘরে এখন এটুকুই সত্য অনিৰ্ব্বান তোমায় মনে পড়ে