পাতা:জন্মবীজ (১৯৪২).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবরোহনের ভুমিকা সেই উজ্জল নদীতট শ্যামল সৌষ্ঠব প্রাংশু সমীরণে অনির্বাণ দেখল স্তব ভেঙে, দেখল মনে মনে সহসা চরাচর সঙঘময় এসেছ ফিরে সখা, আবার ফিরে এলি, এই কি বেঁচে থাকা বর্ণময় কেন যে ফিরে এলি, বেশ তো ভালো ছিলি, এই কি ভালো থাকা সংস্তব কীসের ভালো থাকা শুধুই বেঁচে থাকা, সন্নিহিতি ছাড়া, অনর্থক উৎসে ফিরে এলি, উৎস জুড়ে শুধু প্রবল দাহ আর অলজ্জা সময় হয়নিকো, যেমন ছিলি মন, যেখানে ছিলি ফিরে সেখানে যা এমত নদীতট কখনো দেখিনি যে, এমন ভয়াবহ দাহের ভার প্রীতির মুখগুলি হারিয়ে গেছে কবে, গিয়েছে ডুবে স্মৃতি অলক্তক এসেছ ফিরে সখা, এসেছ একা একা, এমন একা একা থাকা কি যায় কোথায় পিতামাতা, সকলই ব্যর্থতা, এমন ব্যর্থতা রাখা যে দায় সঙেঘ ছিল মন, একাকী নিরজন, দাড়ের পাখি তার কি অভিপ্রায় গিয়েছে উড়ে সখা, এসেছ একা একা, পাখিটি গেছে উড়ে শূণ্যমন তুমিও যাও উড়ে এভাবে পুড়ে পুড়ে সহজ হবে কত সীমস্তন ' জন্মে পাপ ছিল, সে পাপে কাল হল, সে কালে জেগেছিল মহাপ্রলয় বন্ধু মুখগুলি সকলে গেছে হেরে সবাই পুড়ে পুড়ে অকিঞ্চন আমিই বেঁচে আছি এই তো বেঁচে থাকা আমার শব পোড়ে নিরস্তর মুনি বললেন . . . আমি বড় ক্লাস্ত। সেই অশ্রুত অতীত থেকে পাহারা দিয়ে আসছি এই শব। আর তো পারি না । এবার মুক্তি দাও । সেই কালরাতে চরাচরে যখন বিহল নীরবতা, আমার মায়া হল । মুনি অবসন্ন হয়ে নেমেছেন জলে । আমি আগুনের কাছে গেলাম। 8