পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Σ8 জন্মভূমি । 8थ न६थJi । নজীরের প্রতিপোষক র্যাহারা আছেন, তঁহাদের সংখ্যা অবশ্যই অল্প, অথচ ইতিমধ্যে পরস্পর দলাদলি ও জাতিবিরোধের সৃষ্টি হইতেছে । আষাঢ় মাস শেষ হইবার পূর্বে বিডন ষ্ট্রীটস্থ কহিনুর থিয়েটারে কায়স্থ জাতির একটি বিরাট সভা হইয়াছিল । তাহাতে প্ৰস্তাব হইয়াছে, “যাহারী বিধবা কন্যার বিবাহ দিবেন এবং র্যাহারা তাহার সংশ্রবে থাকিবেন তঁহাদিগকে সমাজচ্যুত করিতে হইবে।” বাদানুবাদের অভিনয় যেরূপ হইয়া থাকে, তাহা ত হইতেছে, বোধহয় হইবেও কিছুদিন, সে বিষয়ে কোন প্রকার মন্তব্য প্ৰকাশ করা এ অবস্থায় নিস্ফল, বাস্তবিক বৰ্ত্তমান সমাজের অবস্থায় বিধবা-বিবাহ প্ৰচলিত হওয়া উচিত কি না ? তাহাই দেখা আবশ্যক। শাস্ত্রের বিধি নিষেধ বাক্য আমরা এখন দূরে রাখিব, সামাজিক ব্যবহারই সমাজের প্রধান লক্ষ্য। হিন্দু ব্যবহারে স্মরণাতীত কালাবধি বিধবা-বিবাহ অপ্ৰচলিত, সনাতন শাস্ত্ৰ মতে বিধবার বৈধব্য ব্ৰত ব্ৰহ্মচৰ্য্য পালন অক্ষুন্ন ভাবে চলিয়া আসিতেছে। মৃত পতির উদেশে বিধবার ভক্তি ও অক্ষুন্ন রহিয়াছে। বিধবাবিবাহ চালাইয়া দিলে, নিশ্চয়ই তাহার বিপৰ্য্যয় ঘটবে। সকলেই দেখিতেছেন, হিন্দুসমাজের সধবা নারীগণ একান্ত পতিপ্ৰাণী, সর্বদা পতিসেবাই অনুরতা, পতির সামান্য অসুখে সতীনারীর আহার নিদ্রা পৰ্য্যন্ত বন্ধ থাকে, পতির বিয়োগ হইলে আর পতি পাইব না, জীবনের এই যে এক বদ্ধ মূলসংস্কার, তাহাই অবলার পতিভক্তির নিদান । এক পতিব অভাবে দ্বিতীয় পতি পাইব, দ্বিতীয় পতির বিয়োগে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, প্ৰভৃতি বহুপতি পাইব, এরূপ ভরসা থাকিলে, পতি-ভক্তি শব্দটি কেবল অভিধানেই থাকিবে, নারী হৃদয় হইতে এককালে বিলুপ্ত হইয়া যাইবে পতিব্ৰতা নারীর অস্থিত্ব আর আমাদিগকে দেখিতে অথবা শুনিতে হইবে না, সেরূপ ব্যবস্থা ঘটিলে পবিত্র বিবাহ বন্ধনবদ্ধ হিন্দু সমাজে ডাইভোস আইন বিধিবদ্ধ করান আবশ্যক হইয়া উঠিবে। প্ৰধান দৃষ্টান্ত পুরুষেরা। পরিণীতা পত্নীর প্রতি পুরুষের ভালবাসা থাকে, অনুরাগ থাকে, মায়া-দয়াও থাকে, কিন্তু পতির প্রতি পত্নীর হৃদয়গত যে ভাব পতির তাহ থাকে না ; কেন না, এক স্ত্রী বিয়োগে দ্বিতীয় স্ত্রী প্ৰাপ্ত হইব, মনে মনে সে আশা জাগে। এইস্থলে একটা সাধারণ কথার উল্লেখ করিতে হইল। বৃদ্ধ গৃহিণীরা স্ত্রী বিয়োগী পুরুষকে এই বলিয়া সাস্তুনা দেন, “বেচে থাকুক। চূড়োবাশী, কত শত মিলবে দাসী৷” বিধবা বিবাহ প্রচলিত হইলে, “বেঁচে