পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭শ বর্ষ। বিধবা বিবাহ । SSG থাকুক ঘর যুবতী, কত শত মিলবে পতি।” এক্ষণে সূকলে বিবেচনা করুন, ঐরাপ সান্থন প্ৰাপ্ত বিধবারা,--কেবল বিধবা কেন, ভবিষ্যৎ সস্তুনা প্ৰত্যাশিনী সধবারা ও পতিব্ৰতা ধৰ্ম্মের সার্থকতা দেখাইতে পরিবে কি না ? -যাহাদের যথার্থ বিবেচনা শক্তি আছে, তাহারা মুক্তকণ্ঠে উত্তর দিবেন। কখনই পরিবে না। তাহা যদি সত্য হইল, তবে হিন্দু সংসার হইতে পতি-ভক্তি উঠিয়া যাইবে, জীবীতে পতির প্ৰতি সধবার মায়া-দয়া কমিয়া যাইবে, ইহাও নিশ্চয়। ধৰ্ম্মানুগতি হিন্দুর বিবাহ বন্ধন । বড় শক্ত বন্ধন উভয়ের জীবন কালমধ্যে সে বন্ধন ছিন্ন হইবার নয়। পৃথিবীর অপর কোন জাতির মধ্যে এমন সুদৃঢ় পবিত্র বন্ধন আর নাই। যাহারা হিন্দু বিধবার পত্যন্তর গ্রহণের পক্ষপাতি তঁহার এই বন্ধন শিথিল করিবার, অর্থান্তিরে ছেদন করিবার প্রয়াস পাইতেছেন, সমাজের পক্ষে ইহা মঙ্গল কর হইবে কি না; প্ৰকৃতি সিদ্ধ বিবেকের সাহায্যে স্থির চিত্তে একবার বিবেচনা করিয়া দেখা আবশ্যক । জ্ঞানবান লোকেরা বলেন, ‘নারীর পত্যন্তর গ্রহণ এক প্রকার ব্যভিচার। বিধবা-বিবাহ প্ৰচলিত করিয়া অবলা সরল হিন্দু নারীর ব্যভিচারের প্রশ্ৰয় দেওয়া, দেশের মধ্যে ব্যভিচার স্ৰোত প্ৰবল হইতে দেওয়া কত বড় বুদ্ধি-মানের কাৰ্য্য, তাহাও একবার ভাবিয়া দেখা আবশ্যক। যুগধৰ্ম্মের কথায় অনেকে অবিশ্বাস করেন, অকপটে আমরা তাহাতে বিশ্বাস রাখি। দিন দিন তাহার ফলও প্ৰত্যক্ষ লক্ষিত হইতেছে । কাল মহাস্ত্ৰে সম্প্রদায় বিশেষে অসবর্ণ বিবাহের ধূম পড়িয়া গিয়াছে। সর্বোচ্চ ব্ৰাহ্মণ জাতির কন্যার সহিন্ত অধম নিকৃষ্ট বর্ণের বিবাহ হইতেছে। দেশের মধ্যে বৰ্ণ শঙ্করের আধিক্য অতীব অমঙ্গল, তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। বর্ণ শঙ্কর উৎপাদনের সহায়তা করা মহাপাপ । শ্ৰীকৃষ্ণ যখন অৰ্জ্জুনকে কৌরব যুদ্ধে প্ৰবৃত্তি দান করেন, সেই সময় অৰ্জন বলিয়াছিলেন, “এই মহাযুদ্ধে বহু প্ৰাণীক্ষয় হইবে, তাহাদের বিধবা পত্নীগণ ব্যভিচারে রত হইয়া ক্ৰমাগত বৰ্ণ শঙ্কর উৎপাদন করিবে, আমি সেই মহাপাতকের কারণ হইব, অতএব আমি যুদ্ধ করিব না।” যাহারা ভগবতগীতা পাঠ করিয়াছেন—তাহারা অবশ্যই এই বাক্যের মৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিবেন। অসবর্ণ বিবাহের কথা পরিত্যাগ করিলেও হিন্দু বিধবার স্ববৰ্ণ বিবাহেও সমাজে বহু অনৰ্থ ঘটবে। আজকাল কুমারী বিবাহে যেরূপ মহা দুৰ্জ্জগ উপস্থিত, তাঙ্গার্তে বিধবা বিবাহ চালাইবার চেষ্টা করিয়া বিবাহথিনী রমণীর সংখ্যা বৃদ্ধি