পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধন করিয়াছেন । র্তাহার প্রধান দুঃখ এই যে তিনি জগতের হিতসাধন করিতে আরও অধিক সময় পাইলন না। সাহিত্য ও রাজনীতি বিষয়ে দেশের মধ্যে র্তাহার স্থান অতীব উচ্চ। উনবিংশ শতাব্দীর বংশধরগণ—যাহারা জেমস মিলের লেখনী হইতে অসীম উপকার লাভ করিয়াছেন—যে র্তাহার নামের তত উল্লেখ করেন না, ইহা তাহাদিগের পক্ষে গৌরবের বিষয় নহে। ইহার দুইট কারণ নির্দেশ করিতে পারা যায়- জেম্স মিলের যশংস্থৰ্য্য বেন থামের যশঃ-সুৰ্য্যের উজ্বলতর কিরণে মান ও নিম্প্রভ হইয়া গিয়াছিল। কিন্তু জেস স মিল, কখনই বেন থামের শিষ্য বা অনুবর্তৃক ছিলেন না । তিনি র্তাহার সময়ের এক জন অদ্বিতীয় স্বাধীন-চিন্তাশীল ব্যক্তি ছিলেন। অতীত বংশধরগণ র্তাহাদিগের উত্তরাধিকারিগণের জন্য যে সকল অমূল্য স্বাধীন চিন্তারত্ব রাখিয়া গিয়াছিলেন, তিনিই সৰ্ব্বপ্রথমে সেই সকলের মূল্য অনুধাবন করেন, এবং তিনিই সৰ্ব্বপ্রথমে তাহাদিগের ব্যবহার করেন। বেনথাম ও র্তাহার মনের গঠনের বস্তুতঃ অনেক বৈলক্ষণ্য ছিল । সত্য বটে, তিনি বেন থামের সকল উচ্চগুণের অধিকারী হন নাই, কিন্তু বেনথামও তাহার সমস্ত উচ্চগুণের আধার হইতে পারেন নাই । বস্তুতঃ জগতের অসীম উপকার সাধন করিয়া বেনথাম যে অতুল যশোরাশি লাভ করিয়াছেন, জেমস মিলের জন্য সে যশ প্রার্থনা করিলে আমরা লোকের নিকট উপহাসাম্পদ হইব। বেন থামের ন্যায় তিনি মানব চিন্তাবিভাগে কোন বিপ্লব উত্থাপিত করিতে পারেন নাই, কোন নুতন স্বষ্টিও সংসাধিত করিতে পারেন নাই। কিন্তু তিনি বেন থামের প্রতিভার উজ্জ্বলতর কিরণের সাহায্যে জগতের যে সকল হিতসাধন করিয়াছেন সে সকল গণনায় না আনিলেও, বেনথাম যে বিষয়ে হস্তক্ষেপও করেন নাই সেই বৈশ্লেষিক মনোবিজ্ঞানে—যাহার উপর নীতি ও রাজনীতি শাস্ত্র মূলতঃ নির্ভর করিতেছে—ইনি যাহা করিয়াছেন, তাহাতেই তাহার নাম ভাবী বংশধরদিগের নিকট অতি আদরের জিনিস হইবে সন্দেহ নাই। আর একটা কারণ—যাহাতে র্তাহার নাম উনবিংশ শতাব্দীর লোকের নিকট তত