পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

下8S জন ষ্টয়াট মিলের জীবনবৃত্ত। বৈপরীত্যই উপলক্ষিত হইত। কিন্তু তিনি জানিতেন যে হৃদয়ের কোমলতর বৃত্তি স্বভাবতঃ এত তেজস্বিনী যে ইহা কোন উত্তেজকের অপেক্ষা করে না । স্বতঃই ইহা আপনার আধিপত্য সংস্থাপন করিয়৷ থাকে । ইহা উত্তেজিত হইলে অনেক সময় অনিষ্ট ফল প্রসব করে। তাহার এই বিশ্বাসবশতঃ তিনি কখন পুত্রের অন্তরের কোমলতর বৃত্তি সকলের পরিপোষণ করেন নাই । এইজন্য মিলের কোমলতর বৃত্তি সকল ক্রমেই নিস্তেজ হইয়া উঠিয়াছিল। এই কোমলতর বৃত্তিনিচয়ের নিষন্ত্রণ জন্য কবিতা ও অন্যান্য কল্পনা-বিজুস্তিত কাব্যসমূহের উপর মিলের বিশেষ অনুরাগ জন্মে নাই। তিনি স্বয়ং কল্পনাবিষ্ফরিত কাব্য পাঠ করিতেম বটে, কিন্তু কোমলতর বৃত্তিনিচয়ের পরিপোষণ ও পরিমার্জনের জন্য কাব্যপাঠের উপযোগিতা বুঝিতে পারিতেন না । কিন্তু আহলাদের বিষয় এই যে মিলের অন্তরের এইরূপ অস্বাভাবিক ভাব চিরস্থায়ী হয় নাই। প্লুটার্কলিখিত জীবনাবলী এবং কগুসেটলিখিত টগটের জীবনচরিত মিলের মনে প্রলয় উত্থাপিত করিল। মানবজাতির প্রকৃত উপকারক মহাত্মাদিগের জীবনচরিত পাঠ করিয়া র্তাহার হৃদয় এতদূর উদ্বেল হইয়া উঠিল, যে এখন হইতে তিনি কাব্যরসামৃত পানে আত্মাকে বঞ্চিত করা পাপ মনে করিতে লাগিলেন । । ১৮২৪ খ্ৰীষ্টাব্দের শেষে অথবা ১৮২৫ খ্ৰীষ্টাব্দের প্রারস্তুে মিল, বেন থামের “জুডিসিয়াল, এভিডেন্স” নামক উৎকৃষ্ট গ্রন্থের সম্পাদনে নিযুক্ত হন। এই কার্য্যে তাহার একটা বংসর পর্য্যবসি ই হয় ; এবং ইহাতে তিনি অসাধারণ পরিশ্রম ও পারদর্শিতা প্রদর্শন করেন । তিনি অপরিণতবয়স্ক হইলেও এই গ্রন্থের সম্পাদনে তাহার নাম বিদ্বন্মণ্ডলীতে অতিশয় খ্যাত হইয়া উঠিল । এই কার্য্যে লিপ্ত হওয়ায় মিলের ভূয়লী উন্নতি সংঘটিত হয়। বেনথাম এই গ্রন্থে তাহার .অলৌকিক চিন্তাশক্তির পরাকাষ্ঠী প্রদর্শন করিয়াছেন । এই গ্রন্থে তিনি ইংরাজী ব্যবস্থশাস্ত্রের যাবতীয় অভাব ও দূষণ স্পষ্টাক্ষরে বুঝাইয়া দিয়াছেন । মিল এই গ্রন্থের আদ্যন্ত অতি গভীররূপে আলোড়ন করিয়াছিলেন এবং ইঙ্গার যে যে স্থল অসম্পূর্ণ ছিল তাহার পূরণ করিয়া