পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিমাণই অধিক। মনুষ্যের জীবনকে এই শেষোক্ত প্রকার পুণ ও দুঃখের সহিত বিয়োজিত কর, ইহা জীর্ণ অরণ্য ও জল-বৃক্ষাদিশূন্য মরুভূমিবৎ প্রতীয়মান হইবে । মিলের হৃদয় এই বিশ্লেষণশক্তি বলে নীরস ও শুষ্ক হইয়া পড়িয়াছিল। দয়া, স্নেহ, মমতা প্রভৃতি যে সকল কোমল গ্রন্থি পরস্পরের হৃদয়কে পরম্পরের সহিত গ্রথিত করে, তাহার বিশ্লেষণশক্তি সে সকল গ্রস্থির ছেদ সাধন করিয়াছিল । তিনি জানিতে পারিলেন যে হৃদয়ে এই কোমলত্তর বৃত্তিসকল বলবতী থাকিলে তিনি অধিকতর সুখী হইতে পারিতেন । কিন্তু এই জ্ঞান, তাহার হৃদয়ে সেই কোমলতর বৃত্তিসকলের অবতারণা করিতে পারিল না । দয়া, স্নেহ, প্রেম, ভক্তি প্রভৃতি কোমলতর বৃত্তি সকল তদীয় বিশ্লেষণশক্তির উজ্জ্বল কিরণে অন্তহিত হইয় গেল। দয়া স্নেহ প্রভৃতির সহিত মিলের আত্মাভিমান ও গৌরবপ্রিয়তাও বিলীন হইল । তাহার কাৰ্য্যের উত্তেজক আর কিছুই রহিল না। এইরূপে তিনি আত্মবিষয়ক ও পরবিষয়ক উভয় প্রকার মুখেই বঞ্চিত হইলেন। ইচ্ছা করিলেন জীবন নুতন ভাবে পুনরারম্ভ করেন, কিন্তু তাহার সেই ইচ্ছা পূর্ণ হইবার जख्ठांदनां झिल नां । । ১৮২৬–৭ খ্ৰীষ্টাব্দে যখন এই সকল গভীর চিন্তায় তাহার হৃদয় আন্দোলিত হইতেছিল, তখনও তিনি আপনার নিত্য দৈনিক পাঠনায় বিরত হন নাই। পাঠন তাহার এরূপ অভ্যাসগত হইয়াছিল যে ইহার নিত্য অনুষ্ঠান হইতে বিরত হওয়া তাহার পক্ষে ক্লেশকর হইত । তিনি এরূপ মানসিক অবস্থাতেও তাহাদিগের তর্কসভার জন্য কয়েকটা উৎকৃষ্ট বক্ততা রচনা করেন। কিন্তু যেমন কোন সচ্ছিদ্র পাত্রে অমৃতবর্ষণ করিলে তাহা অবিলম্বেই অন্তহিত হইয়া যায়, সেইরূপ আশা ব্যতীত, লক্ষ্য ব্যতীত, মনের স্ফৰ্ত্তি ব্যতীত, মিলের কার্য্য-প্রবণতা ক্রমেই নিম্প্রভ হইতে লাগিল। জীবন তাহার নিকট দিন দিন ভার বোধ লাগিল। একদিন তাহার মনে এই প্রশ্ন সমুদিত হইল “যখন জীবন এরূপ তুর্ভর বোধ হইতে লাগিল তখন আর আমি ইহা কত কাল বহন করিতে পারিব ?” তাহার মন হইতেই আত্ত্বার