পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুলভি বন্ধুত্ব ও প্রণয় । \ున স্তরঙ্গ উত্থাপিত করিতে পারিতেন না, ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে সেই রমণীর সহিত মিলের প্রথম পরিচয় হয় P এই সময়ে মিলের বয়স পঞ্চবিংশতি এবং সেই রমণীর বয়স ত্রপ্লেবিংশতি বৎসর ছিল। এই রমণীর श्रामैत्र নাম , মিষ্টার টেলর । টেলরের সহিত মিলের পূৰ্ব্ব পরিচয় ছিল । মিলবাল্যকালে কখন কখন তাহাদিগের বাটীতে ক্রীড়া করিতে যাইতেন। সেই সময়ে টেলরের সহিত র্তাহার বাল্য-সুলভ সৌহার্দ্য জন্মে । এই বাল্যসৌহার্দ্যের অযুরোধেই টেলর তাহাকে স্বীয় পত্নীর নিকট পরিচিত করিয়া দেন। টেলর স্বপ্নে ও ভাবেন নাই যে মিল ও র্তাহার পত্নী— ইহাদিগের পরম্পরের মধ্যে এই সময় যে পরিচয় জন্মিল, এই পরিচয় তাহার জীবদ্দশাতেই গাঢ়তর প্রণয়ে, এবং তাছার মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই, বিবাহে পরিণত হইবে। যদিও মিল ও টেলর পত্নীর আত্মীয়তা সৰ্ব্বপ্রথমে তত ঘনীভূত হয় নাই, তথাপি প্রথম দর্শনাবধি টেলর-পত্নী মিলের হৃদয়ের একমাত্র অধিষ্ঠাত্রী দেবত হইয়া উঠিলেন । টেলর-পত্নী পরিণত বয়সে বিদ্যা-বুদ্ধি-গুণে যেরূপ বিভূষিত হইয়াছিলেন, এই নবীন বয়সে তাহাতে সে সকলের অস্কুরমাত্র দেখা গিয়াছিল। বয়সের পরিণতির সহিত র্তাহার মানসিক বৃত্তিসকলও দিন দিন বিকশিত হইতে লাগিল। দিনমণির কিরণে নলিন যেন প্রস্ফুটিত হইতে লাগিল। যে সকল. কমনীয় গুণে স্ত্রীজাতি জগতে বিখ্যাত, এতাবৎ কাল পর্য্যস্ত র্তাহার সেই সকল গুণেরই বিশেষ পরিণতি হইয়াছিল। কিন্তু এখন হইতে মিলের স্বতীক্ষ প্রতি ভার প্রতিফলনে, যে সকল উজ্জ্বস্বলগুণে পুরুষজাতি জগতে বিখ্যাত, টেলরপত্নীতে সে সকল গুণেরও পরিণতি হইতে লাগিল।. আত্মীয়গণ যেমন তাহার গভীর ও প্রবল হৃদয়ভাব, অস্তুৰ্ব্বেধকারিণী স্বাভাবিক বুদ্ধি এবং চিন্তাশীল ও কবিত্বপরিপূর্ণ প্রকৃতি দ্বারা অীকৃষ্ট হইতেন ; বাহিরের লোক তেমনই তাতীর অলৌকিক । সৌন্দর্য্যে ও সহৃদয়তায় মুগ্ধ হইত। অতি অল্প বয়সেই তাহার বিবাহ হয়। র্তাহার স্বামী—সত্যনিষ্ঠ, সাহসী, নিষ্কলঙ্ক, স্বাধীনমতালম্বী এবং মুশিক্ষিত ছিলেন । যদি ও র্তাহার উপর তাহার স্বামীর প্রেম চিরকাল অবিচলিত ছিল, যদিও তিনি চিরকাল সমভাবে স্বামীকে ভক্তি করি