পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গান্ধীজী ও নেতাজী
৯৩

রাষ্ট্র-বিভাগ যেরূপ পরিকল্পিত হইযাছে, তাহাতে ভারতবর্ষে যে কখনো শান্তি স্থাপিত হইবে না, ইহা নিশ্চিত। তৃতীয়তঃ, যদি বা জনশক্তি কখনও একতাবদ্ধ হইয়া, এই সকল বন্ধন বেষ্টন ছিন্ন করে, তজ্জন্য দেশের গ্রাসাচ্ছাদন সমস্যাটি সে একটি নূতন অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর স্থাপন করিয়াছে,[১] সে এমনই যে, দেশীয় গভর্নমেণ্ট কি কেন্দ্রীয়, কি প্রাদেশিক—তাহার কূল-কিনারা পাইবেনা, কারণ তাহা এখন হাত একান্ত আন্তর্জাতিক সমস্যা বলিয়া গণ্য হইতেছে। সবচেয়ে বড় কথা, ইংরেজ এখনও তাহার ব্রহ্মাস্ত্র বাহির করে নাই, ভারতের সহিত ব্রিটেনের সেই Treaty বা চুক্তি, যাহা প্রধানতঃ বাণিজ্যাধিকারসংক্রান্ত—তাহাই এখনও কেহ জানে না। কিন্তু গান্ধীজী সে সকল কথা শুনিবেন না— ইংরেজ ঐ শাসন-কার্য্য ভাবতীয়গণের হাতে ছাডিয়া দিতেছে— ইহাই সবচেয়ে বড় কথা। শিশুকে যেমন কাঠের ঘােড়া দিয়া তাহার অশ্বারোহণ-বাসনা পূর্ণ করিতে হয় ইংবেজও তাহাই করিতেছে। গান্ধীজী মহাত্মা— এজন্য তাঁহার প্রাণ শিশুর মতই সরল; খ্রীষ্ট বলিয়াছেন, শিশুরাই ধন্য, কারণ তাহারাই সহজে স্বর্গে প্রবেশ করিতে পারিবে। গান্ধীজীও গােটা ভারতবর্ষকে সেই স্বর্গরাজ্যে পরিণত করিতে কৃতসংকল্প হইয়াছেন।

 আসল কথা, নেতাজীর দ্বারা যদি ভারতে মুক্তিসাধন না

  1. এই নীতিও যুদ্ধোত্তর জাগতিক অবস্থায় অলঙ্ঘনীয় তাহাতে আরও সুবিধা হইয়াছে।