পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
জয়তু নেতাজী

পরে স্বাধীনতা-সংগ্রাম—ইহাই হইল তাঁহার একমাত্র বুলি। বিলাতের গোল-টেবিল বৈঠকে ইহাই স্বীকার করিয়া তিনি জগতের সমক্ষে ইংরেজের কথারই সমর্থন করিলেন—ঐ বিরোধটাই যে ভারতকে স্বাধীনতা-দানের ঘোরতর অন্তরায়, এতবড় সত্যসন্ধ ধার্ম্মিক নেতার মুখে তাহা ব্যক্ত হওয়ায়, ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের মতলব-সাধন অতিশয় সহজ, এমন কি সততাযুক্ত হইয়া উঠিল। পরে গান্ধীজী ক্রমান্বয়ে এমন সকল কার্য্য করিতে লাগিলেন যে ঐ বাধা উত্তরোত্তর দুর্ল্লঙ্ঘ্য হইয়া উঠিল, এবং উহারই কারণে, শেষে ব্রিটিশ সরকারের হস্তে বিষম পরাজয় স্বীকার করিয়া গান্ধী-কংগ্রেস আজ মরাণাপন্ন। গান্ধীজীর নেতৃত্ব ওই একটি বাধাকে জয় করিতে না পারিয়া ক্রমশ অন্তঃশক্তিহীন, অসরল ও লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়াছে। ঐ আপোস-নীতিই তাহার সর্ব্বনাশের কারণ। যে এক চোখ সর্ব্বদা ইংরেজশাসক-সম্প্রদায়ের দিকে পাতিয়া রাখিয়াছে, যে সত্যই পূর্ণ-স্বাধীনতা কামনা করে না, এবং সেই সর্ব্বস্বপণ করিয়া সংগ্রামে অবর্তীণ হইবে না, যে কেবল একটা দলগত নেতৃত্ব-রক্ষার জন্যই অধীর— জন-জাগরণের পরিবর্ত্তে জন-সম্মোহনই যাহার কাম্য, যে একটা অতিশয় বিশিষ্ট ধর্ম্মমতকেও আপামর সাধারণের উপরে চাপাইয়া, রাষ্ট্রনৈতিক স্বাধীনতার নামে আধ্যাত্মিক পরাধীনতা—একটা অভিনব ধর্ম্মের শাসন—বিস্তার করিতে চায়, তাহাকে অপর কোন সম্প্রদায় বিশ্বাস করিবে কেন? ইহাও একরূপ exploitaion বা পরের দ্বারা নিজের