পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩২
জয়তু নেতাজী

উচ্ছেদ-চিন্তা তখন স্থগিত রাখিয়াছিলেন, সে কথা পূর্ব্বে বলিয়াছি। তথাপি আমি তাঁহার সেই অন্তর-নিরুদ্ধ দহনজ্বালা, এবং একদা সেই জ্বালা তাঁহারও কিরূপ অসহ্য হইয়াছিল, তাহার প্রমাণস্বরূপ একটি কাহিনী উদ্ধৃত করিব। ভগিনী নিবেদিতা তাঁহার গুরুর সহিত হিমালয়ভ্রমণ-কালে, একটি ঘটনায় স্বামীজীর অন্তরে হঠাৎ যে অগ্ন্যুৎপাত দেখিয়াছিলেন, তাহার গভীরতর কারণ তিনিও চিন্তা করেন নাই―কেবল, সেই ঘটনার ফলে তাঁহার গুরুর অধ্যাত্ম-জীবনে কিরূপ বিপ্লবের সূচনা হইয়াছিল, তাহাই বলিয়াছেন। ঘটনাটি এই। স্বামীজীর বড় ইচ্ছা ছিল কাশ্মীর-রাজ্যে একটি মঠ ও একটি সংস্কৃত বিদ্যালয় স্থাপন করেন; মহারাজার নিকট হইতে একটু জমি যে তিনি পাইবেন তাহাতে কোন সন্দেহ ছিল না, রাজমন্ত্রী তাঁহাকে অতিশয় শ্রদ্ধা করিতেন। কিন্তু এই সামান্য বিষয়েও, তৎকালীন ব্রিটিশ রেসিডেণ্ট Sir Adalbert Talbot বিরুদ্ধতাচরণ করিলেন, মহারাজার সম্মতিও তুচ্ছ হইয়া গেল। এই ঘটনায় স্বামীজী দারুণ আঘাত পাইয়াছিলেন, সে আঘাত যে কিসের আঘাত, তাহা বোধ হয় আজ আর কাহাকেও বুঝাইয়া দিতে হইবে না। ভগিনী নিবেদিতা লিখিয়াছেন, ইহার পর কয়েক সপ্তাহ স্বামীজীর ভিতরে এক তুমুল ঝড় বহিয়াছিল, সেই অবস্থায় তিনি ইংরেজীতে যে ‘কালী-স্তোত্র’ লিখিয়াছিলেন, তাহা শেষ করিবার সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞাহীন হইয়া পড়েন। সেই স্তোত্রের শেষ কয় পংক্তি এইরূপ―