পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVR জয় পরাজয় হুগলী সহরের দিকে গিয়াছে, এই পথে দিনেই লোকের বড় চলাচল ছিল না, রাত্ৰিতে কেহই চলিত না ; কারণ পূৰ্ব্বেও এই মাঠে দুই-একবার ডাকাতি হইয়াছে । আমরা কিছু খাদ্যাদি সঙ্গে লইয়াছিলাম। এক পুষ্করিণীর তীরে আসিয়া আহারাদি করিয়া লইলাম । তৎপরে এক গাছতলায় বসিয়া রাত্রির প্রতীক্ষা করিতে লাগিলাম। অমূল্য বলিল, “রাত্রে লড়ালডির ব্যাপার আছে হে, এখন একটু ঘুমাইয়া লণ্ডয়া যাক ৷” বৃক্ষতলে পড়িয়া অমূল্যচন্দ্ৰ সুখে নিদ্রা যাইতে লাগিল ; নানা কারণে আমার মন এতই বিচলিত ও উদ্বেলিত হইয়াছিল যে, আমার চোখে বহুদিন হইতেই তেমন নিদ্রা ছিল না । কি হইবে, আজ কি ডাকাত আসিবে y না আসিলে অমূল্যের উপহাস-হাসি-টিটকারীর সম্মুখে তিষ্ঠিতে পারিব না ; তবে আমাদের এ ব্যাপার অন্য কেহ জানে না । যে চারিজন বলিষ্ঠ লোককে পান্ধী বহিতে আনিয়াছি, তাহারাও আমাদের উদ্দেশ্য কিছুই জানে না-ভিতরের কথা তাহাদের কিছুই বলি নাই। ফতে আলিও কিছুই জানেন না ; সুতরাং আজ যদি ডাকাত না আসে, আমরা যদি ডাকাত ধরিতে না পারি, তবে আমাদের অকৃতকাৰ্য্যতার কথা আমি ও অমূল্য ব্যতীত আর কেতই জানিতে পরিবে না । মনটা ডাকাতের দুশ্চিন্তায় এতই আলোড়িত হইয়া উঠিয়াছিল যে, কুঞ্জের কথাও ভাবিবার অবসর ছিল না ; তথাপি সহস্রাবার তাহার কথা, তাহার মুখ আমার মনে উদিত হইতেছিল । ক্ৰমে সন্ধ্যা হইল। আমরা যে স্তানে পান্ধী রাখিতে বলিয়াছিলাম, ঠিক সন্ধ্যার পরে তথায় উপস্থিত হইলাম । ক্রমে রাত্রি নয়টা বাজিল । তখন আমরা দুইজনে সেই নিৰ্জন প্ৰান্তরমধ্যে পান্ধীতে উঠিলাম। ད།