পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8决一夺乙外5-夺下5夺1 S. শালায় প্রবেশ করিতে দেখিয়া সে স্থির করিল, এই পারাবতাকে অবলম্বন করিয়াই কাৰ্য্যসিদ্ধি করিতে হইবে। পরদিন কাক প্ৰাতঃকালেই সেই রন্ধনশালার নিকট উপস্থিত হইল এবং বোধিসত্ত্ব বাহির হইয়া আহারসংগ্ৰহাৰ্থ যাত্ৰা করিলে তঁাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল। বোধিসত্ত্ব জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভদ্র, তুমি আমার সঙ্গে চরিতেছ। কেন ?” কাক বলিল, “স্বামিন, আপনার চালচলন আমার বড় ভাল লাগিয়াছে ; আমি এখন হইতে আপনার অনুচর হইয়া থাকিব ।” বোধিসত্ব বলিলেন, “সৌম্য, আমার খাদ্য এক রূপ, তোমার খাদ্য এক রূপ ; আমার অনুচর হইলে তোমায় অসুবিধা ভোগ করিতে হইবে।” “স্বামিন, আপনি যখন আপনার আহার অন্বেষণ করিবেন, আমি তখন আমার আহার সংগ্ৰহ করিব এবং নিয়ত আপনার সঙ্গে । সঙ্গে থাকিব।” “বেশ তাহাই হউক, কিন্তু তোমাকে খুব সাবধান হইয়া চলিতে হইবে ।” এইরূপে কাককে সতক করিয়া বোধিসত্ত্ব বিচরণ করিতে করিতে তৃণবীজাদি খাইতে লাগিলেন ; কাক ও সেই সময়ে গোময়পিণ্ডসমূহ উল্টাইয়া কীটাদি ক্ষুদ্ৰ প্ৰাণী খাইতে খাইতে উদর পূর্ণ করিল এবং তাহার পর বোধিসত্ত্বের নিকট আসিয়া বলিল, “স্বামিন আপনি অনেকক্ষণ ধরিয়া ভোজন করেন ; অতিভোজন করা ভাল নয়।” অতঃপর বোধিসত্ত্বের আহার শেষ হইলে তিনি যখন সন্ধ্যার সময় বাসস্থানাভিমুখে চলিলেন, তখন কাকও র্তাহার, অনুগামী হইল এবং শেষে সেই রন্ধনশালায় প্ৰবেশ করিল। পাচক ভাবিল, “কপোত আর একটী পক্ষী সঙ্গে করিয়া আনিয়াছে’ ; সুতরাং সে উহারও জন্য একটা ঝাড়ি ঝালাইয়া দিল।” তদবধি ঐ পক্ষিদ্বয় রন্ধনশাল্লায় একত্র বাস করিতে লাগিল। ইহার পর একদিন শ্রেষ্ঠ প্রচুর মৎস্য ও মাংস আনয়ন করিলেন ; পাচক সেগুলি রন্ধনশালার নানাস্থানে ঝুলাইয়া রাখিল । তাহা দেখিয়া কাকের বড় লোভ জন্মিল ; সে স্থির করিল, কাল চরায় না গিয়া দিনমানে এখানেই থাকিতে হইবে, এবং এই মৎস্য মাংস খাইতে হইবে। অনন্তর সে সমস্ত রাত্ৰি ( পীড়ার ভাণ করিয়া ) আৰ্ত্তনাদ করিতে করিতে কাটাইল। প্ৰভাত হইলে বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “চল, বন্ধু, চরায় যাই।” কাক বলিল, “আজি আপনি একাই যান ; আমার কুক্ষিতে বড় ব্যথা হইয়াছে।” বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “সৌম্য, কাকের যে কুক্ষিরোগ হয় ইহা ত কখনও শুনা যায় নাই। তাহারা রাত্রিকালে প্ৰতি প্রহরে নাকি এক একবার – ( ক্ষুধায়) অবসন্ন হইয়া পড়ে ; কিন্তু দীপবৰ্ত্তিকা খাইয়া সেই সেই মুহূৰ্ত্তেই ক্ষুন্নিবৃত্তি করিয়া থাকে। তুমি নিশ্চিত এই রন্ধনশালার মৎস্যমাংস খাইবার জন্য লালায়িত হইয়াছ। তুমি আমার সঙ্গে চল ; মনুষ্যের খাদ্য তোমার পক্ষে দুষ্পাচ্য। এরূপ লোভের বশীভূত হইও না ; আমার সঙ্গে গিয়া খাদ্য অন্বেষণ করিয়া লাইবে, এস।” কাক বলিল, “না প্ৰভু, আমার চলিবার সাধ্য নাই।” “বেশ, তোমার ব্যবহারেই উদ্দেশ্যের পরিচয় পাওয়া যাইবে। তবে সাবধান, যেন লোভের বশবৰ্ত্তী হইয়া কোন অসঙ্গত কাজ করিও না ।” কাককে এইরূপ উপদেশ দিয়া বোধিসত্ত্ব নিজের আহার'সংগ্ৰহাৰ্থ চলিয়া গেলেন । এদিকে পাচক মৎস্যমাংস লইয়া তাহা নানা প্রকারে পাক করিতে আরম্ভ করিল এবং রন্ধন-পাত্রগুলি হইতে বাস্পনিৰ্গমনার্থ উহাদের মুখ একটু খুলিয়া দিয়া এবং একটা পাত্রের উপর বাঝারি * রাখিয়া বাহিরে গিয়া ঘাম মুছিতে লাগিল। কাকও ঠিক সেই সময়ে ঝুড়ি হইতে নিজের মাথা বাড়াইয়া দিল এবং দেখিতে পাইল পাচক বাহিরে গিয়াছে। তখন সে ভাবিল,

  • মূলে “পরিসন্দাবন করোটি” এই শব্দ আছে। ইহা ঝোল প্রভৃতি ছাৰ্কিবার জন্য ছিদ্রযুক্ত এক প্রকার

বৃহৎ পাত্ৰ ।