পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৫-পঞ্চায়ুধ-জাতক । እ S % ۹۹ কারণ আমি বিষাক্ত শার নিক্ষেপ করিয়া, তুমি যেখানে দাড়াইয়া আছ সেইখানেই, তোমায় নিপাত করিব।” এই বলিয়া তিনি শরাসনে হলাহলযুক্ত শরসন্ধান করিয়া যক্ষের উপর নিক্ষেপ করিলেন। কিন্তু উহা যক্ষের লোমে আবদ্ধ হইয়া ঝুলিতে লাগিল। তাহার পর বোধিসত্ত্ব একে একে পঞ্চাশটা শার নিক্ষেপ করিলেন ; কিন্তু সমস্তই যক্ষের লোমে আবদ্ধ হইয়া রহিল, শরীর বিদ্ধ করিতে পারিল না । যক্ষ একবার গা ঝাড়া দিয়া সমস্ত বাণ নিজের পাদমূলে ফেলিয়া দিল, এবং বোধিসত্ত্বকে ধরিবার জন্য অগ্রসর হইল। বোধিসত্ত্ব হুঙ্কার ছাড়িয়া খড়গ নিস্কোষিত করিয়া আঘাত করিলেন। ঐ খড়ালখানা তেত্ৰিশ অঙ্গুলি দীর্ঘ ছিল ; কিন্তু ইহাও যক্ষের লোমস্পর্শ করিবামাত্র আবদ্ধ হইয়া রহিল। তাহার পর বোধিসত্ত্ব শক্তি নিক্ষেপ করিলেন, মুদগর দ্বারা প্ৰহার করিলেন ; কিন্তু সমস্তই অন্যান্য অস্ত্রের ন্যায় যক্ষের লোমে আবদ্ধ হইয়া রহিল। তখন বোধিসত্ত্ব সিংহনিনাদে বলিলেন, “যক্ষ ! আমার নাম যে পঞ্চায়ুধকুমার তাহা বোধ হয় তোমার জানা নাই। আমি যে কেবল ধনুৰ্ব্বাণাদি অস্ত্রের উপর নির্ভর করিয়াই তোমার বনে প্ৰবেশ করিয়াছি তাহা মনে করিও না ; আমার দেহেও বিলক্ষণ বল আছে। আমি এক মুষ্ট্যিাঘাতে তোমার শরীর চুর্ণ বিচুর্ণ করিতেছি।” কিন্তু তিনি যেমন দক্ষিণ হস্তদ্বারা যক্ষকে প্ৰহার করিলেন, * অমনি উহা তাহার লোমে আবদ্ধ হইল । তিনি বামহস্তদ্বারা আঘাত করিলেন, বামহস্তও আবদ্ধ হইল ; দক্ষিণ পাদদ্বারা আঘাত করিলেন, দক্ষিণ পাদ ও আবদ্ধ হইল ; বামপাদদ্বারা আঘাত করিলেন, বামপাদ ও আবদ্ধ হইল। কিন্তু তখনও বোধিসত্ত্ব নিবীৰ্য্য হইলেন না। “তোমাকে এখনই চুর্ণ বিচুর্ণ করিব।” বলিয়া এবার তাহাকে মস্তক দ্বারা আঘাত করিলেন ; কিন্তু মস্তক ও লোমজালে আবদ্ধ হইয়া রহিল। এইরূপে পঞ্চাঙ্গে আবদ্ধ হইয়া বোধিসত্ত্ব যক্ষের দেহের উপর ঝুলিতে লাগিলেন, কিন্তু র্তাহার মানসিক তেজ পুর্ববৎ অক্ষুন্ন রহিল। যক্ষ ভাবিল, “এই ব্যক্তি দেখিতেছি আদ্বিতীয় পুরুষসিংহ ; আমার ন্যায় যক্ষের হাতে পড়িয়াও ইহার কিছুমাত্ৰ সন্ত্রাস জন্মে নাই। আমি এত দিন এই বনে মানুষ ধরিয়া খাইতেছি, কিন্তু কখনও এরূপ নিভীক লোক দেখি নাই। এ যে কিছুমাত্ৰ ভয় পাইতেছে না, ইহার কারণ কি ?” সে বোধিসত্ত্বকে তখনই খাইয়া ফেলিতে সাহস করিল না ; সে জিজ্ঞাসা করিল, “ঠাকুর, তোমার মরণভয় নাই কেন ?” বোধিসত্ত্ব উত্তর দিলেন, “যক্ষ ! ভয় করিব কেন ? একবার জন্মিলে একবার মরণ ইহা ত অবধারিত। অধিকন্তু আমার উদরে বজায়ুধ * আছে ; তুমি আমাকে খাইতে পার, কিন্তু ঐ আয়ুধ জীৰ্ণ করিতে পরিবে না ; উহা তোমার অন্ত্রগুলি খণ্ডবিখণ্ড করিবে ; সুতরাং আমার মরণে তোমারও মরণ হইবে । এখন বুঝিলে আমার মরণভয় নাই কেন ?” ইহা শুনিয়া যক্ষ ভাবিতে লাগিল, ”এই ব্ৰাহ্মণকুমার সত্যই বলিয়াছে। এরূপ পুরুষসিংহের শরীরের মুদগবীজমাত্ৰ মাংসও আমি জীৰ্ণ করিতে পারিব না । ইহাকে ছাড়িয়া দেওয়া যাউক ৷” এইরূপে নিজমরণভয়ে ভীত হইয়া সে বোধিসত্ত্বকে ছাড়িয়া দিয়া বলিল, “ব্ৰাহ্মণকুমার, তুমি পুরুষসিংহ ; তুমি আমার হস্ত হইতে রাহুগ্ৰস্ত চন্দ্রের ন্যায় মুক্তিলাভ করিয়া জ্ঞাতিবর্গের ও স্বজনের আনন্দবৰ্দ্ধনার্থ স্বদেশে গমন কর।” বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “যক্ষ ! আমি ত চলিলাম ; কিন্তু তোমার কি গতি হইবে ? তুমি পুৰ্ব্বজন্মকৃত অকুশল কৰ্ম্মের ফলে অতিলোভী, হিংসাপরায়ণ, পররক্তমাংসভুক যক্ষরূপে জন্মগ্ৰহণ করিয়াছ। যদি ইহ জীবনেও এইরূপ অকুশল কৰ্ম্মেই নিরত থাক, তাহা হইলে তোমাকে এক অন্ধকার হইতে অপর অন্ধকারে গতি লাভ করিতে হইবে । কিন্তু যখন আমার দর্শন লাভ করিয়াছ, তখন আর অকুশল কৰ্ম্মে আসক্ত থাকিতে পরিবে না। প্ৰাণিহত্যা মহাপাপ ; SM qM LqSLSLSM MMM AqSALeSAeSMALA qLMLSLA LLSLLLA LL LMLMMMMMMLMLMLMLASALAMLMSMALALALALLSALTAMLMLMAMLSLSLMLL LqLL LL

  • জ্ঞানরূপ তরবারি। বাইবলে ও বৌদ্ধশাস্ত্রে জ্ঞান, আস্তিক্য-বুদ্ধি প্রভৃতি আত্মার রক্ষা সাধক গুণগুলি অস্ত্রশস্ত্ৰাদিরূপে বৰ্ণিত হইয়াছে।