পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/eاد リー5卒等st和 6भवभe । উপক্ৰমণিকা । করুণাসিন্ধু যে অস্থাপি রোমাণ কাথলিকদিগের নিকট সাধুশ্রেণীভুক্ত হইয়া পূজা পাইতেছেন। ইহা ভাবিলে এদেশে এমন কে আছেন যাহার হৃদয়ে অপূৰ্ব্ব আনন্দ রসের উৎস না চুটিবে ? যাহারা প্রকৃত মহাপুরুষ তাহারা এইরূপেই সৰ্ব্বত্র বরেণ্য হইয়া থাকেন । কোন কোন জাতককথার দেশভ্রমণবৃত্তান্ত বলা হইল। যাহারা জাতিক BBBDD DBDDBBD DBDDS DDDD DDBDBDBDB BDBBBD KBBBBDuBDLD BBDBDB পাইয়াছেন (যথা মিত্ৰবিন্দকজাতক) । কিন্তু অনেকেই ততদূর অগ্রসর হইতে সাহস পাইবেন না । তথাপি মনে হয় মিত্ৰবিন্দকের সহিত সিন্দাবাদের হয়ত কোন সম্পর্ক থাকিতে পারে। ইটালী দেশীয় পণ্ডিত কম্পারেটির মতে মিত্ৰবিন্দকই সিন্দাবাদের আদিপুরুষ। রাধাজাতক প্ৰভৃতি দুই একটী জাতিক যে আরব্য নৈশোপাখ্যানমালাতে স্থান পাইয়াছে ইহা আমরাও বুঝিতে পারি। নৈশোপাখ্যানমালা খুব প্ৰাচীন গ্ৰন্থ নহে। 'মুসলমানধৰ্ম্মের অভু্যদয়ের পুরে এশিয়ার মধ্যখণ্ডে বৌদ্ধধৰ্ম্মেরই "প্ৰভাব ছিল ; আবার এই বীেদ্ধের শেষে মুসলমান হইয়াছিলেন। কাজেই তঁহাদের অনেক আখ্যান মুলমান সাহিত্যে প্ৰবেশ করিয়াছিল। আরববাসীদিগের সংস্পর্শে আসিয়া নিরক্ষর নিগ্রোরা পৰ্য্যন্ত জাতককথা শিখিয়াছে। দক্ষিণ কারোলিনার নিগ্রে শিশুরা রিমাস কাকার যে কথা শুনে, তাহা শ্লেষরোমজাতক ভিন্ন আর কিছু নহে। উত্তরকালে যখন যীশুখ্ৰীষ্টর সমাধিমন্দির লইয়া প্রাচ্যের সহিত প্রতীচ্যের সজঘর্ষ হয়, তখনও কোন কোন প্রাচ্য কথা যুরোপে প্ৰবেশ করে। ইংল্যাণ্ডরাজ সিংহবিক্রম রিচার্ড স্বদেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়া বিদ্রোহী ভূস্বামীদিগকে ভৎসনা করিবার সময় সত্যংকিরজাতকের আখ্যায়িকাটী বলিয়াছিলেন ; মহাকবি চসার বেদস্তুজাতক অবলম্বন করিয়া Pardoner's Tale রচনা করিয়াছিলেন। সেক্সপিয়ারপ্রণীত Merchant of Venice নামক নাটকে অদ্ধাসের মাংসের এবং পেটিকাত্ৰয়ের সম্বন্ধে যে বিবরণ আছে তাহাও পরোক্ষভাবে ভারতবর্ষীয় কথা হইতেই গৃহীত হইয়াছিল। অধুনাতন সময়ে লা-ফন্টেন প্রভৃতি কথাকারেরাও ভারতবর্ষীয় কথাকারদিগের নিকট ঋণ গ্ৰহণ করিয়াছেন; গ্ৰীমন্ত্ৰাতৃদ্বয়-সংগৃহীত কথাকোষে দধিবাহনজাতিক প্ৰভৃতি সতর আঠারটিী জাতকের পরিচয় পাওয়া গিয়াছে। ਫਣ ਹੋਲੇP%ਣ5 | এখন জাতকের উপযোগিতা সম্বন্ধে কিছু বলা যাইতেছে। কথাতত্ত্বের আলোচনা করিতে হইলে এবংবিধ প্রাচীন গ্ৰন্থ যে নিতান্ত আবশ্যক ইহা পূর্বেই প্ৰতিপন্ন হইয়াছে। যে সকল কথা সাহিত্যে ও লোক মুখে চলিয়া আসিতেছে, আদিম অবস্থায় তাহারা কিরূপ ছিল ও কি উদ্দেশ্যে রচিত হইয়াছিল, কি কারণে দেশভেদে তাহদের পরিবর্তন ঘটিল, ইত্যাদি নির্ণয় করিতে হইলে জাতিক ও অন্যান্য প্ৰাচীন কথা পাঠ করিতে হয় । এই উপযোগিতা দেখিয়াই পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা জাতকের অধ্যয়নে প্ৰবৃত্ত হইয়াছেন। তঁহাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সমগ্ৰ পালি জাতকার্থিবৰ্ণনা ইংরাজী অক্ষরে মুদ্রিত হইয়াছে এবং ইংরাজী ভাষায় ইহার অনুবাদ সম্পন্ন হইয়াছে। গত পঁচিশ বৎসরে জাতকগুলি য়ুরোপবাসীদিগের এতই ভাল লাগিয়াছে যে তঁাহারা ইহাদের কোন কোন চিত্তরঞ্জক আখ্যান