পাতা:জাতিভেদ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতিভেদ।। ৪৫ সকলের সম্ভানু এক সঙ্গে শিক্ষা লাভ করিতে লাগিল, একাসনে বসিতে লাগিল, এক সঙ্গে খেলিতে লাগিল, একপ্রকার পদ লাভ করিতে লাগিল। ইহার অপেক্ষা অধিক সাম্যের শিক্ষা কিসেঁ হইতে পারে? দ্বিতীয়তঃ পাশ্চাত্য সাহিত্য ও বিজ্ঞানেরর চর্চা যতই হইতে লাগিল ততই লোকের হৃদয় মনের বিকাশ হইতে লাগিল। প্ৰাচীন কুসংস্কার সকল তাড়াইবার জন্য মুসলমান রাজারা তরবার ধরিয়াছিলেন ; কিন্তু তঁাহারা ভরবার । ধরিয়াও যাহা করিতে পারেন নাই বৰ্ত্তমান রাজারা বিদ্যালয় । খুলিয়া তাহার অধিক করিলেন । বিনা তর্কে বিনা প্রচারে, বিনা সংগ্রামে নব্য শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের কুসংস্কাররাশি বিদূরিত হইতেছে। ঈশ্বর এক জনকে ব্ৰাহ্মণ, একজন শূদ্ৰ করিয়াছেন একথা একজন দ্বাদশবৰ্ষীয় স্কুলের ভূত্রেরও নিকট উপহাসের কথা হইয়াছে। তৃতীয়তঃ বৰ্ত্তমান সময়ে মুদ্রাযান্ত্রের প্রচার হওয়াতে সমূহ দায় প্রাচীন শাস্ত্ৰ মুদ্রিত হইয়া। আপামর সাধারণ সকলের হস্তে অৰ্পিত হইতেছে। যে শাস্ত্ররূপ অস্ত্ৰ লুক্কায়িত রাখিয়া ব্ৰাহ্মণগণ হীন জাতীয়দিগের উপর। প্ৰভুত্ব বিস্তার করিয়া ছিলেন তাহা এখন ঐ হীনজাতীয়দিগের হস্তে পড়িতেছে। প্ৰাচীন কালে শাস্ত্ৰকারগণ বলিয়াছিলেন শূদ্রের । বেদে অধিকার নাই। এখন কি দেখিতেছি? শূদ্র দূরে থাক শ্লেচ্ছগণ বেদের উদ্ধার কৰ্ত্ত হইয়াছেন এবং আমাদিগকে